জগনের ‘ঘর ওয়াপসি’ কংগ্রেসে! জল্পনা তুঙ্গে

জগন রেড্ডি কি প্রত্যাবর্তন করছে কংগ্রেসে? এমনই সুর শোনা যাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এবার বিধানসভায় চন্দ্রবাবুর দলের কাছে গোহারা হেরেছে জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। লোকসভাতেও হতশ্রী…

জগন রেড্ডি কি প্রত্যাবর্তন করছে কংগ্রেসে? এমনই সুর শোনা যাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এবার বিধানসভায় চন্দ্রবাবুর দলের কাছে গোহারা হেরেছে জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। লোকসভাতেও হতশ্রী পারফারম্যান্স। যার ফলে দক্ষিণের এই রাজ্যে দলের শোচনীয় পরিস্থিতির সন্মূখীন হয়েছেন জগন। তাই কূল বাঁচাতে এবার রাহুল গান্ধীর দলে মিশতে চাইছে রেড্ডি? বিজেপির এই অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণের রাজনীতিতে। বুধবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অন্ধ্রের বিজেপি বিধায়ক রামকৃষ্ণ রেড্ডি।

তাঁর অভিযোগ, অন্ধ্রের ভোটে হারার পর থেকেই নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে জগনের কাছে। তাই তার দলের কাছে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কংগ্রেসই মুশকিল আসান। সেই কারণে সম্প্রতি ব্যাঙ্গালুরুতে গিয়ে কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করেন জগন। সেই বৈঠকেই ওয়াইএসআর কে কংগ্রেসে মিশিয়ে ফেলার বিষয়ে অনেকটাই কথা এগিয়েছে।

   

বিধানসভা ভোটে অন্ধ্রে ১৭৫ টি আসনের মধ্যে মাত্র ১১ আসন জিতে আর লোকসভাতেও ২৫টির মধ্যে মাত্র চারটি আসন জিতে রাজ্যে বিরোধী দলের তকমাও হাতছাড়া করেন জগন। এমন অবস্থায় তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সদ্য সম্পন্ন লোকসভা স্পিকার নির্বাচনে এনডিএ মনোনীত প্রার্থী ওম বিড়লাকেই সমর্থন করেছে তাঁর দল। তবুও জগনের ‘গোপন অভিসন্ধি’ নিয়ে চর্চা বাড়ছে দিল্লির অলিন্দেও। অতীতে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে খুব কম দলই রাজনৈতিক ভাবে সফল হতে পেরেছে,তবে ব্যাতীক্রম মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

২০১০ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ওয়াইএসআর কংগ্রেস তৈরি করেন জগন। ২০১৯ নাইডুকে হারিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল। যদিও ভাইয়ের সঙ্গে মত বিরোধের কারণে ইতিমধ্যেই দল ভেঙে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বোন শর্মিলা। তারপর কেন্দ্রে এনডিএর সঙ্গে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দি চন্দ্রবাবু নাইডুর জোট অস্বস্তিতে ফেলেছে জগনকে। সুতরাং নিজের কূল বাঁচাতে কোন দিকে যান জগন সেটাই দেখার।