নয়াদিল্লিঃ মহুয়া মৈত্রকে সামলাতে এবার কী ন্যায় সংহিতার আশ্রয় নিল কেন্দ্র? জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মার উদ্দেশ্যে ‘পাজামা’ মন্তব্য করার জন্য এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। সম্প্রতি ভারতীয় নয়া ফৌজদারি আইন ন্যায় সংহিতা চালু করেছে কেন্দ্র। সেই আইনের ৭৯ ধারায় এই মামলা রুজু করা হয় তাঁর বিরদ্ধে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রথের রশিতে টান মমতার, ইসকনের রথযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী
ঘটনার সূত্রপাত কিছু দিন আগে। হাথরস কাণ্ডে সম্প্রতি সত্সঙ্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। সেখানে তাঁর পেছনে এক ব্যক্তিকে ছাতা ধরে হাটতে দেখা যায়। এই দৃশ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে নেট দুনিয়ায়। এই ঘটনাটি চোখে পড়তেই সরব হন মহুয়া। ওই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।’ আর এই মন্তব্য সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে জাতীয় মহিলা কমিশন।
চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্য পরোক্ষভাবে অপমানজনক কটূক্তি করার জন্য স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। আর তারপরই সেকশন ৭৯-এ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই ধারায় শাস্তি যথেষ্টই কড়া বলেই জানিয়েছে। এবং তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে নিঃসন্দেহে বেকায়দায় পড়তে হবে তৃণমূলকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রথের দিন কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই প্লাস্টিক কারখানা
মহুয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ প্রথম নয়। এর আগে সাংসদের পোর্টালের পাসওয়ার্ড বিতর্ক থেকে ইডি-সিবিআই। বিভিন্ন ভাবেই কৃষ্ণনগরের এই সাংসদকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। এবার লোকসভা ভোটের আগেও মহুয়াকে একাধিকবার তলব করেছিল কেন্দ্রিয় সংস্থাগুলি। কিন্তু তাতে পাত্তা দেন নি তৃণমূলের এই ‘মারকুটে’ সাংসদ। ৪ জুন কৃষ্ণনগরে তাঁর প্রতিদ্বন্দি বিজেপির অমৃতা রায়কে বিপুল ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের সাংসদ হয়েছেন তিনি। তারপর সংসদে গিয়ে চলতি অধিবেশনেই বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারকে নিজের তীক্ষ্ণ বক্তৃতায় বেকায়দায় ফেলেছেন।
১০ জুলাই উপনির্বাচন, কোথায় এগিয়ে কে? দেখুন লোকসভা ভোটের নিরিখে ৪ বিধানসভার ফল
তাঁর চাঁচাছোলা ভাষণ মন কেড়েছে বিরোধী দলগুলির বহু সাংসদের। মহুয়ার আগ্রাসী মনোভাব ইন্ডিয়া জোটের ভিতকে সংসদের ভেতর মজবুত করেছে বলে মনে করেন অনেকে। তাই এই জনপ্রিয় মহিলা সাংসদকে রুখতে এমন বিজেপির মহিলা কমিশনকে ব্যবহার আদতে একটি রাজনৈতিক কৌশল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।