নয়া দিল্লির বিতর্কের মাঝেই যুব সমাজকে বার্তা অশ্বিনীর

শুক্রবার, প্রথম এডিশন অব স্কুল অফ আলটিমেট লিডারশিপ (SOUL) কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের যুবকদের শক্তি ও লক্ষ্য সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন,…

শুক্রবার, প্রথম এডিশন অব স্কুল অফ আলটিমেট লিডারশিপ (SOUL) কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের যুবকদের শক্তি ও লক্ষ্য সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের যুবসমাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা কাজ করছে। আশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আজ দেশজুড়ে অনেক বেশি আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। দেশের যুবসমাজ সত্যিই সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, যেটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সেই ‘বিকশিত ভারত’। এখানে কয়েকদিন ধরে যেসব সেশন আয়োজন করা হয়েছে, তা যুবদের জন্য এক দুর্দান্ত সুযোগ, যেখানে তারা বর্তমান নেতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে—যারা শিল্প, সরকার, রাজনীতি ও একাডেমিয়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে এসেছেন। এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে একটি মূল্যবান সংযোগ স্থাপিত হবে।”

এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি স্কুল অফ আলটিমেট লিডারশিপ (SOUL)-এর সূচনা করেন, আশা প্রকাশ করেছেন যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সেরা নেতারা বেরিয়ে আসবেন। তিনি বলেছিলেন, “নাগরিকদের উন্নতি দেশ গড়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা নেতাদের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি, এবং এটাই সময়ের দাবি। আর এই কারণেই স্কুল অফ আলটিমেট লিডারশিপ প্রতিষ্ঠা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় পদক্ষেপ ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার পথে।”

   

প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও জানান, SOUL-এর বিশাল ক্যাম্পাস খুব শিগগিরই গিফট সিটিতে তৈরি হবে এবং এই প্রতিষ্ঠান স্থাপত্যশাস্ত্রের নেতৃত্বে দেবে। ফেব্রুয়ারি ২১-২২ তারিখে আয়োজিত এই দুই দিনের SOUL নেতৃত্ব কনক্লেভে বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতারা, যেমন রাজনীতি, ক্রীড়া, শিল্প, মিডিয়া, আধ্যাত্মিক জগত, জননীতি, ব্যবসা এবং সামাজিক খাত থেকে তাদের জীবনের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করবেন এবং নেতৃত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এই কনক্লেভে যুবকদের জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবান শেখার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সফল ব্যক্তিত্ব তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করবেন SOUL-এর মাধ্যমে যুবকদের মধ্যে নেতৃত্বের মানসিকতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারে।