Gen Z আন্দোলনের জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ রুপ নিল তীব্র আন্দোলনের। সোমবার নেপালে যুবসমাজের আন্দোলনে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৬ জন, আহত শতাধিক। লক্ষাধিক সংখ্যায় যুবক-যুবতী সহ সাধারণ…

নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ রুপ নিল তীব্র আন্দোলনের। সোমবার নেপালে যুবসমাজের আন্দোলনে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৬ জন, আহত শতাধিক। লক্ষাধিক সংখ্যায় যুবক-যুবতী সহ সাধারণ মানুষের আন্দোলন কাঠমান্ডুর বানেশ্বরের সংসদ ভবনের সামনে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয় কিছু উত্তেজিত আন্দোলনকারী। ভাঙচুর চলে ভবনের একাংশে।

Advertisements

বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ, জলকামান দাগে পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। তারপর লক্ষাধিক আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। পরিস্থিতি পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই সরকার জরুরি পদক্ষেপে সেনা মোতায়েন করে এবং জারি করে ‘গুলি করার নির্দেশ’। নেপালের এই ভয়াবহ যুবআন্দোলনের আবহে সীমান্তে সতর্কতা জারি করল ভারত।

   

সূত্রের খবর, ভারতের সশস্ত্র সীমা বলকে ভারত-নেপাল সীমান্তে করা নজরদারি এবং সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ভারতের তরফ থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বলা বাহুল্য, ভারতের সঙ্গে প্রায় ১৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ উন্মুক্ত সীমানা রয়েছে নেপালের। উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের নেপাল-সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল দিয়ে অনায়াসে জাতায়াত করেন দুই দেশের মানুষ। যদিও দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং বাণিজ্যের জন্যই দুই দেশের মধ্যে এই উন্মুক্ত সীমান্ত রাখা হয়েছে, তবুও কোনোরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, নেপালে কে পি শর্মা অলি সরকারের স্বজনপোষণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে ৪ সেপ্টেম্বর ২৬ টি অ্যাপের উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা। বাক স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার হয়ে সোমবার সকালে নেপালের রাজপথে নামেন লক্ষাধিক মানুষ।