পহেলগাঁও জঙ্গি নিধনে অখুশি অখিলেশ? সংসদে তরজা শুরু

 সংসদে মঙ্গলবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং (Akhilesh) সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবের মধ্যে তীব্র বাক্যবিনিময় ঘটেছে। পহেলগাঁও হামলার ঘটনায়…

Akhilesh vs amit shah in perliament

 সংসদে মঙ্গলবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং (Akhilesh) সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবের মধ্যে তীব্র বাক্যবিনিময় ঘটেছে। পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের নিধনের বিষয়ে আলোচনার সময় অখিলেশ যাদবের মন্তব্যের জবাবে অমিত শাহ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

শাহ বলেন, “আমি আশা করেছিলাম যে বিরোধী দল পহেলগাঁও হামলার দায়ী জঙ্গিদের নিধনের খবরে খুশি হবে, কিন্তু মনে হচ্ছে তারা খুশি নয়… এটা কী ধরনের রাজনীতি? আপনারা কি জঙ্গিদের মৃত্যুতে খুশি নন? অখিলেশ জি… দয়া করে বসুন, আমি প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেব। জঙ্গিদের ধর্ম নিয়ে দুঃখিত হবেন না।”

   

এই মন্তব্যের মাধ্যমে সংসদে এক তীব্র তর্কের সূত্রপাত হয়, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।অপারেশন সিঁদুর, যা জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয়েছিল, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলাকালীন অখিলেশ যাদবের মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ করে।

অখিলেশ যাদব সরকারের নিরাপত্তা নীতি এবং অপারেশনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যা অমিত শাহের তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণ হয়। শাহ অভিযোগ করেন যে বিরোধী দল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপকে সমর্থন করছে না এবং এই ধরনের ঘটনায় রাজনৈতিক স্বার্থ খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না। যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।”

এই ঘটনা সংসদে উত্তপ্ত বিতর্কের সূচনা করে। অখিলেশ যাদব তাঁর বক্তব্যে বলেন যে সরকারের উচিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা এবং এই ধরনের হামলা প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার প্রায়ই জঙ্গি হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। এই মন্তব্যের জবাবে অমিত শাহ বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিনিয়ত দেশের জন্য জীবন দিচ্ছে।

বিরোধী দলের উচিত এই ধরনের পদক্ষেপের প্রশংসা করা, রাজনীতি নয়।”এই বিতর্কের ফলে সংসদে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। বিরোধী দলের অন্যান্য সদস্যরাও অখিলেশ যাদবের সমর্থনে সরকারের নীতির সমালোচনা করেন। তাঁরা দাবি করেন যে কেবল জঙ্গি নিধনই যথেষ্ট নয়, সরকারের উচিত সন্ত্রাসবাদের মূল কারণগুলি নির্মূল করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

Advertisements

এই বক্তব্যের জবাবে অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন যে মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই তর্ক কেবল অপারেশন সিঁদুরের বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।

অখিলেশ যাদবের মন্তব্য এবং অমিত শাহের প্রতিক্রিয়া উভয়ই জাতীয় নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অমিত শাহের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই হাজার হাজার রিপোস্ট এবং মন্তব্য পেয়েছে।

অনেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ বিরোধী দলের প্রশ্ন তোলার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন।এই ঘটনা ভারতীয় রাজনীতিতে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে আরও স্পষ্ট করেছে।

ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত বাগানের এই তারকা ফুটবলার

অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সত্ত্বেও, সংসদে এই তর্ক প্রমাণ করে যে সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা কতটা চ্যালেঞ্জিং। আগামী দিনে এই বিতর্ক কীভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে, তা দেখার বিষয়।