‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’….আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ উদ্বোধন মোদী-হাসিনার

ভারত বাংলাদেশের বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিয়ো কনফারেন্সের…

ভারত বাংলাদেশের বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল দুই প্রতিবেশী দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। তিনটি প্রকল্পেই সহায়তা করেছে ভারত।

এই তিন প্রকল্প হল – আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল যোগাযোগ প্রকল্প, খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট-২। এই তিন প্রকল্প বাংলাদেশে সংযোগ ও জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

   

প্রকল্প উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মাননীয়া আপনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে পূরণ করতে ভারত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।” পাশাপাশি তিনি আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের উদ্বোধনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম রেল সংযোগ।

অপরদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেল। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাজ জানাতে চাই।”

উল্লেখ্য, আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল যোগাযোগ প্রকল্পে ৩৯২.৫২ কোটি টাকার সহায়তা করা হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ১২.৭৪ কিমি এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মাধ্য়মে ত্রিপুরার অংশে থাকছে ৫.৪৬ কিমি। আর বাংলাদেশের অংশে থাকছে ৬.৭৮ কিমি অংশ।

অন্যদিকে খুলনা-মঙ্গলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পে মোট ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পেও ভারত ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।