শ্রীনগর: একজন চিকিৎসকের লকারে সাধারণত কি কি থাকতে পারে? স্টেথোস্কোপ, অ্যাপ্রন বা টুকিটাকি ব্যক্তিগত কোনও জিনিস। কিন্তু তাই বলে লকারের মধ্যে ব্যক্তিগত আস্ত একখানা AK-47 রাইফেল! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আদিল আহমেদ রাথার।
গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪ থেকে অনন্তনাগের সরকারি মেয়াডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। তাঁর লকার থেকে AK-47 রাইফেল উদ্ধার হওয়ার পর হতবাক পুলিশও। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নওগাম থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক্তারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক সংযোগের জন্য ডাক্তারের কল রেকর্ড, ব্যাংক লেনদেন এবং ডিজিটাল যোগাযোগ পরীক্ষা করার জন্য একটি লিঙ্ক-আপ তদন্তও করা হচ্ছে।
তদন্তে নামতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও
জম্মু কাশ্মীরের মত সংবেদনশীল জায়গায় একজন চিকিৎসকের লকার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টিতে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসকের সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা বর্তমানে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্ত্রাসী অর্থায়ন বা জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যোগসূত্র উন্মোচিত হলে জেলা পুলিশের পাশাপাশি NIA-এর মতো জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তদন্তে যোগ দিতে পারে, বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকের হাসপাতাল থেকে লকারের লগ এবং নজরদারি ফুটেজ সহ প্রমাণ সংগ্রহও শুরু করেছে পুলিশ।
বেআইনি অস্ত্র রাখার কড়া শাস্তি
উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালের ভারতীয় অস্ত্র আইনের অধীনে, লাইসেন্স ছাড়া আধুনিক বা নিষিদ্ধ অস্ত্র রাখার শাস্তি কঠোর। যদি চিকিৎসকের লকার থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সঙ্গে সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপের যোগসূত্র প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিযুক্তকে চিকিৎসককে UAPA-এর অধীনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে আটক এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ফরেনসিক এবং গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পরে ঘটনার বিষয়ে বিশদে জানানো হবে।
