রবিবার এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের ২৬টি লিগ্যাসি বোয়িং B787-8 ড্রিমলাইনার বিমানের এভিওনিক্স ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আধুনিকায়ন করবে, যাতে অপারেশনাল ব্যাঘাত কমে এবং বিমানের সামগ্রিক নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি এয়ারলাইনটি ড্রিমলাইনারসহ কিছু বিমানে প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এর আগে, ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের পরপরই লন্ডন গ্যাটউইকগামী একটি B787-8 বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ২৬টি লিগ্যাসি B787-8 এবং সাতটি B787-9 ড্রিমলাইনারে জ্বালানি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হয়।
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘোষিত ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ফ্লিট রেট্রোফিট কর্মসূচির আওতায় প্রথম লিগ্যাসি ড্রিমলাইনারটির রেট্রোফিট শুরু করেছে। বিমানটি গত জুলাইয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার ভিক্টরভিলে অবস্থিত বোয়িং কারখানায় পাঠানো হয়। আগামী অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় বিমানও একই স্থানে যাবে, এবং উভয় বিমান ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে পুনরায় পরিষেবায় ফেরার কথা রয়েছে।
বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৬টি B787-8-এর রক্ষণাবেক্ষণ ও কনফিগারেশন রেকর্ড পর্যালোচনা করে বোয়িংয়ের পরিষেবা তথ্য বুলেটিন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো অপারেশনাল ব্যাঘাত হ্রাস করা এবং দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে সাতটি বিমান ভিক্টরভিলে ভারী রক্ষণাবেক্ষণ (D-চেক) সম্পন্ন করবে।
সংস্কারকাজ ২০২৭ সালের মাঝামাঝি শেষ হওয়ার কথা, এবং তখন এই ড্রিমলাইনারগুলিতে তিন-শ্রেণীর আসন বিন্যাস থাকবে—ব্যবসায়িক, প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ইকোনমি ক্লাস। ২০২৭ সালের শুরু থেকে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের ১৩টি লিগ্যাসি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ER পুনর্নির্মাণ শুরু করবে, যা ২০২৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে প্রায় ১৯০টি ন্যারো-বডি ও ওয়াইড-বডি বিমান রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া ২৭টি লিগ্যাসি এয়ারবাস A320neo বিমানের সংস্কার প্রকল্প চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে; এখন পর্যন্ত ১৬টি বিমান সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, আগে পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এয়ার ইন্ডিয়া তাদের ১৩টি লিগ্যাসি A321ceo বিমানেরও সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।