এয়ার ইন্ডিয়া ক্র্যাশ: ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার, তদন্তে বড় সাফল্য

আহমেদাবাদ: আহমেদাবাদ থেকে দিল্লি আনা এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্স (Cockpit Voice Recorder ও Flight Data Recorder) সফলভাবে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার তার ডেটা ডাউনলোড…

Air India 171 Black Box

আহমেদাবাদ: আহমেদাবাদ থেকে দিল্লি আনা এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্স (Cockpit Voice Recorder ও Flight Data Recorder) সফলভাবে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার তার ডেটা ডাউনলোড ও বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। ১২ জুনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্তে এটি এক বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৭৫ জন।

দিল্লির পরীক্ষাগারে কাজ শুরু 

এই ব্ল্যাক বক্সের ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্ঘটনার ঠিক আগে কী ঘটেছিল তা বোঝা সম্ভব হবে। মন্ত্রকের অধীনস্থ Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB) দিল্লির পরীক্ষাগারে এই কাজ চালাচ্ছে।

   

সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই তল্লাশি শুরু হয় এবং দুই দিন পর, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) উদ্ধার করা হয়। ব্ল্যাক বক্সের ‘ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল’ (CPM) নিরাপদে বের করে ২৫ জুন তার মেমরি মডিউল থেকেও সফলভাবে ডেটা ডাউনলোড করা হয়।

CVR-এ কী থাকে? Air India 171 Black Box

উল্লেখ্য, CVR-এ পাইলটদের কথোপকথন ও ককপিটের শব্দধারণ থাকে, আর FDR-এ থাকে বিমানের যাবতীয় কারিগরি তথ্য-যা একত্রে দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ কারণ বুঝতে সাহায্য করে।

অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু বুধবার নিশ্চিত করেন যে, AI 171 বিমানের ব্ল্যাক বক্স এখনও ভারতের মধ্যেই রয়েছে এবং AAIB-র বিশেষজ্ঞ দল এর বিশ্লেষণে নিযুক্ত।

Advertisements

এর আগে কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, ব্ল্যাক বক্সটি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা আমেরিকায় পাঠিয়ে বিশ্লেষণ করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার সময় সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্র্যাশ সাইটের আশেপাশের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এক প্রাক্তন মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলট ক্যাপ্টেন স্টিভ স্কাইবনার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, রানওয়ে ছেড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে ‘র‍্যাম এয়ার টারবাইন’ (RAT) সক্রিয় হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে বিমানের দুটি ইঞ্জিনই একযোগে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে, প্রাথমিকভাবে “ডুয়াল ইঞ্জিন ফেইলিওর” বা দুই ইঞ্জিন একসঙ্গে বিকল হওয়াকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

AAIB-কে এই তদন্ত সম্পূর্ণ করতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক এই সাফল্যে তদন্তের গতি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বাড়াতে এই বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।