দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট লেগেছিল হাতে। বাদ যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সহকর্মীরা (Indian Air Force) কিন্তু থেমে থাকেননি। এক ঘণ্টার মধ্যে আহত ব্যক্তিকে লাদাখ থেকে বিশেষ বিমানে উড়িয়ে দিল্লির হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁরা। তারপর দ্রুত অপারেশন করে ডাক্তাররা হাত রক্ষা করেন। শুনে গল্প মনে হলেও এটা সত্যি! বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় বায়ুসেনা এয়ারলিফট করে আহত এক জওয়ানকে লাদাখ থেকে উড়িয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসে।
লাদাখে একটি মেশিন চালানোর সময় ওই জওয়ান হাতে গুরুতর চোট পান। দুর্ঘটনার জেরে হাত কাটাও পড়ে। সেই কাটা হাতই জোড়া লাগিয়েছেন রাজধানীর একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আপাতত ওই জওয়ান ভালো আছেন। গোটা ঘটনার কথা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তারা লিখেছে, সীমান্ত লাগোয়া এলাকার একটি ইউনিটে মেশিন চালানোর সময় এক জওয়ান তাঁর হাত কেটে ফেলেন। সেই হাত জোড়া লাগানোর জন্য দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন ছিল। জওয়ানকে দিল্লির R&R হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা লিখেছে, C-130J বিমানে নাইট এয়ারলিফটের মাধ্যমে দ্রুত জওয়ানকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য হাতে সময় ছিল মাত্র 6 থেকে 8 ঘণ্টা। NVG-র সাহায্যে গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্ভব হয়েছে। NVG-র পুরো কথাটি হল নাইট ভিশন গগলস। এই ডিভাইসের সাহায্যে কম আলোয় আশপাশে থাকা জিনিস ভালোভাবে দেখা যায়। এই গগলসকে নাইট অপটিক্যাল বা অবজারভেশন ডিভাইস বা নাইট ভিশন বাইনোকুলার বলা হয়ে থাকে।
An #IndianArmy personnel severed his hand while operating a machine, at a unit located in the forward area.
Given a window of 6 to 8 hrs for emergency surgery to save his appendage, an IAF C-130J aircraft was launched within an hour to move the Jawan for surgery at the R & R… pic.twitter.com/wYYm8U0Whr
— Indian Air Force (@IAF_MCC) April 12, 2024
এদিকে উপত্যকায় অশান্তি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ফ্রাসিপোরায় এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী তল্লাশি অভিযানে নামে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গি। তার কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পনা করে উপত্যকাকে উত্তপ্ত করার ছক কষছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এর পিছনে চিনেরও মদত রয়েছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চিং প্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।