চিনকে টেক্কা দিয়ে সমুদ্রের নিচেও প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াল ভারত, ভয় কাঁপবে সকলে

যত সময় এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারত। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কিন্তু ভারত এবার এমন এক কাজ করে দেখালো যারপরে…

যত সময় এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারত। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কিন্তু ভারত এবার এমন এক কাজ করে দেখালো যারপরে শত্রুদের বুক ভয়ে কেঁপে যাবে। জানা গিয়েছে, এবার সমুদ্রের নিচেও প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াল ভারত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতীয় সাবমেরিনে এবার এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (AIP) লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন এর কাজ কী? জানা গিয়েছে, সাবমেরিনকে জলের নিচে দীর্ঘ সময় লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে এই এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন বা AIP। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি ইনস্টল করতে চলেছে ভারত।

   

ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে এই মুহূর্তে এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (এআইপি) প্রযুক্তির একটিও সাবমেরিন নেই। কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারত দেশীয়ভাবে এআইপি প্রযুক্তি তৈরি করেছে এবং আগামী বছরের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর বহরে ফরাসি স্করপিন সাবমেরিনে লাগানো হবে। খুব সহজ কথায় সাধারণ সাবমেরিন বেশিক্ষণ জলের নিচে থাকতে পারে না এবং ব্যাটারি চার্জের জন্য তাদের বারবার বেরিয়ে আসতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও চিনের মতো দেশ পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করেছে, যা শুধু শব্দ না করে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটতে পারবে না, বরং এরা কয়েক মাস সমুদ্রের ভেতরে থাকতে পারে। তবে যেহেতু পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের দাম অনেক বেশি, তাই পরমাণু শক্তির বিকল্প হচ্ছে এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (এআইপি) প্রযুক্তি, যা সাবমেরিনগুলো চলার সময় শব্দ কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘ সময় সমুদ্রের নিচে থাকতে সক্ষম করে তোলে।

আর এই প্রযুক্তিকেই এবার কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। ভারতের মোট ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে কেবল একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন। ভারত দীর্ঘদিন ধরে এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন (এআইপি) প্রযুক্তির সন্ধান করছে। এআইপি প্রযুক্তি চার্জ করা ব্যাটারিগুলির মধ্যে সাবমেরিনের ডুবো সহনশীলতা তিন থেকে চারগুণ বাড়িয়ে তোলে, সনাক্তকরণের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। ভারত মহাসাগরে চিনের নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে এআইপি সহ সাবমেরিনগুলি ট্র্যাক না করেই তাদের আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ফলে বলাই যায়, চিনের বাড়বাড়ন্ত দেখে ভারত এই প্রযুক্তি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।