NEET বিতর্কে আজ বৃহস্পতিবার চরম পদক্ষেপ নিল সিবিআই। নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় তদন্ত রাজধানীর গতিতে বাড়িয়েছে সিবিআই। এই ঘটনায় হাজারিবাগে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই দল। হাজারিবাগে সিবিআইয়ের একটি দল রয়েছে, যেখানে ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ সহ মোট ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, সিবিআই টিম তাদের তদন্তের অংশ হিসেবে আজ ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ আহসানুল হককে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই ১১ জনকে আটক করলেও বুধবার রাতে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওয়েসিস স্কুলকে এনইইটি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছিল এবং তদন্তকারী সংস্থা প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় এই স্কুলের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই টিম বলে সূত্রের খবর।
এ ছাড়া নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত, প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অবস্থান মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। গত ৬ মাস ধরে ধৃতদের অবস্থান ও কল ডিটেলস নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের সন্দেহ, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ধৃত অভিযুক্তরা শুধুই ঠিকাদার। সিবিআই মনে করছে, এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের পিছনে বড় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় ওয়েসিস স্কুলের প্রিন্সিপাল আহসান-উল-হককে ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের সন্দেহ, ওই কাগজ ফাঁসের পেছনে স্কুল কর্তৃপক্ষের বড় হাত থাকতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর এহসানুল হক সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্কুলের দুই কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে হাজারিবাগে যাঁদের মুক্তি দিয়েছে সিবিআই, তাঁদের শহর না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের দলটি এখনও হাজারিবাগে রয়েছে এবং চারহির সিসিএল গেস্ট হাউসে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সিবিআই সিসিটিভি ক্যামেরার বেশ কিছু নথি এবং ডিভিআর বাজেয়াপ্ত করেছে।
সিবিআই আধিকারিকরা অন্যান্য জায়গাতেও এই মামলার তদন্ত করতে পারেন। নওয়াদা ও সমস্তিপুরেও সিবিআই দল উপস্থিত রয়েছে এবং সেখানেও তদন্ত চলছে। রীতিমতো দুর্নীতির একদম মূলে পৌঁছাতে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।