গলতে পারবে না মাছিও, সংসদে মোতায়েন ২৫০০ জন CISF জওয়ান

বাদল অধিবেশনের আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সংসদ ও সংসদ চত্ত্বর। সম্প্রতি সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে নিয়ে সিআইএসএফ (CISF)-কে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার…

CISF গলতে পারবে না মাছিও, সংসদে মোতায়েন ২৫০০ জন CISF জওয়ান

বাদল অধিবেশনের আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সংসদ ও সংসদ চত্ত্বর। সম্প্রতি সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে নিয়ে সিআইএসএফ (CISF)-কে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার প্রথম অধিবেশন ২৪ জুন এবং রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশন ২৭ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সংসদে নিরাপত্তার জন্য এই প্রথম ২৫০০ জন সিআইএসএফ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর।

এদিকে সংসদ রক্ষার জন্য সিআইএসএফ এখনও লিখিত নির্দেশ পায়নি। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে সিআইএসএফ। সিআইএসএফ এবং সংসদ সিকিউরিটি সার্ভিসের শীর্ষ আধিকারিকরা সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় সাংসদ ও মন্ত্রীদের চিহ্নিত করার জন্য বিস্তৃত ব্যবস্থা করেছেন এবং তাদের প্রোটোকলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করেছেন।

   

সাংসদ-মন্ত্রীদের চিহ্নিত করার কাজ সিআইএসএফ করবে না। আগের মতোই এই দায়িত্ব পালন করবেন পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বর্তমানে সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় ২৫০০ সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। এর মধ্যে বহু কমান্ডোও রয়েছেন। এক কথায় বিনা অনুমতিতে কোনও মাছিও গলতে পারবে না সংসদের ভেতরে বা সংসদ চত্ত্বরে। সিআইএসএফ মোতায়েনের পর দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফকে এখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।

সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন যাতে কোনও ভুল না হয়, তা নিশ্চিত করতে সাংসদ-মন্ত্রীরা যে গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন, সেখানে সিআইএসএফ এবং সংসদীয় সুরক্ষা পরিষেবার পদস্থ আধিকারিকরা মোতায়েন থাকবেন। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সংসদ ভবনে ঢোকার আগে কোনও সাংসদ বা মন্ত্রীর পাস স্ক্যান করা হবে না। আগের মতোই যেসব নিরাপত্তা কর্মকর্তা নতুন সরকার গঠনের পর সব এমপি-মন্ত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করে নতুন সরকার গঠনের পর ইতিমধ্যে তাদের কাজ সেরে ফেলেছেন, সেই সব নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রবেশ গেটে মোতায়েন থাকবেন।