ইন্দোর: বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের সঙ্গে হয়ত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে গিয়েছে ভারতের অন্যতম বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (AIR India) নাম। ১২ জুনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরেও একাধিকবার বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুক্রবার ফের দিল্লি থেকে ইন্দোরগামী বিমানে যান্ত্রিক গোলমালের কারণে ইন্দোর বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করল এয়ার ইন্ডিয়ার AI ১০২৮ বিমান।
সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “অবতরণের আগে বিমানের তেল ফিল্টারে সমস্যা লক্ষ করেন পাইলট। যার জেরে জরুরী অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে যাত্রী সহ সব বিমানকর্মী নিয়ে বিমানটি সুরক্ষিত অবতরণ করেছে”। উলেখ্য, শুক্রবারেই ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া খারাপ থাকায় কলকাতায় অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ৪৭৩ বিমানটি। যেটিতে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। কলকাতা বিমানবন্দরে বেশ কিছুক্ষণের অপেক্ষার পর বেলা ১ টায় ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে মাঝির বিমানটি অবতরণ করে।
চলতি সপ্তাহের বুধবার যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তিরুচিরাপল্লি থেকে উড়ানে ব্যর্থ হয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমান। পরে যাত্রীদের অন্য একটি বিমানে স্থানান্তরিত করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২ সেপ্টেম্বরেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিল্লি থেকে ইন্দোর-গামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই(AI) ২৯১৩-এর ডানদিকের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ায় উড়ানের তৎক্ষণাৎ পরে ফের দিল্লি বিমানবন্দরে ফিরে আসে বিমানটি।
এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানান, “ইঞ্জিনে আগুন লাগার ইঙ্গিত মেলায় ককপিট ক্রু প্রথমে ‘মে ডে কল”(May Day) দেয়। পড়ে অবশ্য সেটিকে “প্যান প্যান”(PAN PAN)-এ পরিণত করা হয়। পরিস্থিতি বুঝে বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন এবং বিমানটিকে দিল্লি বিমানবন্দরে সুরক্ষিত ভাবে অবতরণ করান ককপিট ক্রু।” ৩১ আগস্টও ঠিক একই ভাবে উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইঞ্জিনে আগুন লাগায় দিল্লির বিমানবন্দরে ফিরে আসে দিল্লি থেকে ইন্দোর-গামী এতার ইন্ডিয়ার এআই ২৯১৩ বিমান।
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কথা ভাবলে এখনও শিউড়ে ওঠে মানুষজন। তার পর থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সত্ত্বেও মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আকাশে উড়ছে এয়ার ইন্ডিয়ার একাধিক বিমান। সবচেয়ে সুরক্ষিত যান হিসেবে পরিচিত বিমান এখনও মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করতে পারেনি। তার উপর নিত্যদিনের ত্রুটির কথা সামনে এলেও প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।