আফজাল গুরুর কবর সরাতে চেয়ে PIL, আর্জি খারিজ হাই কোর্টে

নয়াদিল্লি: সংসদে হামলার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত মহম্মদ আফজাল গুরু ও জেকেএলএফের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মকবুল ভাটের কবর সরাতে চেয়ে PIL (জনস্বার্থ মামলা) দায়ের করা হয়েছিল৷ বুধবার সেই…

Afzal Guru grave PIL

নয়াদিল্লি: সংসদে হামলার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত মহম্মদ আফজাল গুরু ও জেকেএলএফের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মকবুল ভাটের কবর সরাতে চেয়ে PIL (জনস্বার্থ মামলা) দায়ের করা হয়েছিল৷ বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, উভয়কেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে জেলেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তাদের।

আদালত হস্তক্ষেপে নারাজ

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, কবর সরানোর সিদ্ধান্ত সরকারের এখতিয়ারে রয়েছে। আদালত তাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিচারকরা আরও স্পষ্ট করেছেন, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় সরকারই কবর সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

   

আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, কবরগুলো কোনও “তীর্থস্থান” বা উস্কানিমূলক স্থানে পরিণত হওয়া উচিত নয়। তবে আদালত জানিয়েছে, এই ধরনের দাবির পক্ষে যথাযথ প্রমাণ থাকা আবশ্যক। শুধুমাত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টকে ভিত্তি করে PIL গ্রহণ করা যায় না।

কবরগুলোকে গোপন স্থানে স্থানান্তরিত করার আর্জি Afzal Guru grave PIL

আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে কবরগুলোকে গোপন স্থানে স্থানান্তরিত করুক যাতে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়া না হয় এবং জেলের প্রাঙ্গণের অপব্যবহার না হয়। আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন, কবরের উপস্থিতি তিহার জেলকে “র‍্যাডিকাল তীর্থস্থানে” পরিণত করেছে, যেখানে উগ্রপন্থীরা জড়ো হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের প্রশংসা করে।

Advertisements

উল্লেখ্য, ভাট ও গুরু উভয়ই “উগ্র জিহাদি মতাদর্শের” প্রভাবে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছিলেন। ভাটকে ১৯৮৪ সালে, আর গুরুকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফাঁসি দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে, কবর সংক্রান্ত বিষয় শুধুমাত্র সরকারের নীতি ও আইনশৃঙ্খলার ওপর নির্ভরশীল। আদালত এখন সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News