নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর (November) দেশের বহু চর্চিত রাম মন্দির বাবরি মসজিদ (Ram temple- Babri mosque) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogai) নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
অবসর নেওয়ার দিন কয়েক আগে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সেটাই ছিল কোনও মামলার চূড়ান্ত রায় দান। সম্প্রতি নিজের কর্ম জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে একটি বই লিখেছেন গগৈ। ‘জাস্টিস ফর দ্য জাজ’ নামে গগৈয়ের ওই আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে তাঁর কর্মজীবনের বহু না জানা তথ্য। যার মধ্যে অন্যতম রাম মন্দির বাবরি মসজিদ মামলার রায়।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে আলোচিত এই মামলার রায় দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি কী করেছিলেন তা জানলে অবাক হতে হয়। গগৈ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন বহু আলোচিত রাম মন্দির মামলার রায় দানের পর তিনি দিল্লির একটি হোটেলে গিয়ে মদ্যপান করেছিলেন। তবে শুধু তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চে থাকা আরও চার বিচারপতিও সেদিন ওই হোটেলে মদ্যপান করেছিলেন।
গগৈ আত্মজীবনীতে জানিয়েছেন, ৯ সেপ্টেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ওই মামলার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টের সচিব তাঁদের এক নম্বর কোর্টের বাইরে অশোক চক্রের নিচে ফটোসেশনের আয়োজন করেছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি ডিভিশন বেঞ্চে থাকা অপর চার বিচারপতি কে নিয়ে গিয়েছিলেন তাজ মানসিং হোটেলে। সেখানেই তাঁরা প্রথমে চাইনিজ খাবার খেয়েছিলেন। এরপর সেখানে থাকা সবথেকে দামি মদ বেছে নিয়েছিলেন পান করার জন্য। গগৈ নিজে সবচেয়ে পুরনো বোতলটি বেছেছিলেন। নিজে পান করার সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চের অপর বিচারপতিদেরও মদ্যপান করিয়েছিলেন তিনি। গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি আবদুল নাজির।
উল্লেখ্য, রাম মন্দির মামলার রায় ঘোষণার পরই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন গগৈ। তারপর শুরু হয় তাঁর নতুন পথ চলা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। যদিও গগৈয়ের এই মনোনয়ন নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রবল সমালোচনা শুরু করে। বিরোধীরা দাবি করে, রাম মন্দির মামলার রায় ঘোষণার পুরস্কার হিসেবে গগৈকে রাজ্যসভায় এনেছে মোদি সরকার।