হিন্দুদের বিলুপ্তি রুখতে বাংলা-বিহার নিয়ে নজিরবিহীন প্রস্তাব! সুকান্তর পর এবার নিশিকান্ত দুবে

ফের একবার শিরোনামে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এবার তিনি যা বললেন তা শুনে গোটা পার্লামেন্ট কেঁপে গিয়েছে। তাঁর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়…

ফের একবার শিরোনামে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এবার তিনি যা বললেন তা শুনে গোটা পার্লামেন্ট কেঁপে গিয়েছে। তাঁর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে ‘লাইমলাইট’-এ উঠে এলেন সাংসদ। 

আজ বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নতুন করে সরকারের কাছে এনআরসি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। ক্রমহ্রাসমান হিন্দু জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এনআরসি বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং বলেন, ‘আমি যা বলছি তা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তবে আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।’

   

সাংসদ একাধিক জেলাকে কেন্দ্রশাসিত করার দাবি জানান। নিশিকান্ত বলেন, ‘কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা উচিত, অন্যথায় হিন্দুরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং এনআরসি লাগু করবে। আর কিছু না হোক, সেখানে সংসদের একটি কমিটি পাঠিয়ে ২০১০ সাল থেকে আইন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়িত করুন যে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ের জন্য অনুমতি অপরিহার্য।’  

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের সব নেতা আজ একই কথা বলছেন যে সংবিধান বিপন্ন। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু। সংবিধান নয়, গুটিকয়েক মানুষের রাজনীতি বিপন্ন। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড যখন বিহার ভেঙে পৃথক রাজ্যে পরিণত হয়, তখন সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে ৩৬ শতাংশ আদিবাসী ছিল, যা আজ ২৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাহলে ১০ শতাংশ আদিবাসী কোথায় নিখোঁজ হয়েছে? এই বিষয় নিয়ে এই সংসদে কখনও আলোচনা হয় না, শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হয়।’ নিশিকান্তের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ড সরকারও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বাড়ছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করছে। আমাদের দেশ থেকে যাঁরা আদিবাসী মহিলা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের স্বামী মুসলমান, যাঁরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তাঁদের স্বামী মুসলমান। আমাদের এক লক্ষ আদিবাসী প্রধান আছেন যাদের স্বামী মুসলিম।’

বিজেপির সাংসদ বলেন, ‘সব জায়গায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে ১৫-১৭ শতাংশ। কিন্তু এখানে আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১২৩ শতাংশ। আমার লোকসভা কেন্দ্র মধুপুরে ২৬৭টি বুথে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ২৫টি বিধানসভা আসন রয়েছে যেখানে জনসংখ্যা বেড়েছে ১২৩ শতাংশ, ১১০ শতাংশ, এটা চিন্তার বিষয়। পাকুড় জেলার তারানগর এলামি, ডাঙ্গাপাড়ায় দাঙ্গা হয়েছে। বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আর মালদহ, মুর্শিদাবাদের লোকজন এসে আমাদের লোকজনকে তাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই এই দাঙ্গা হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।’