সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Operation Sindoor) এলাকায় ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা ফের একবার নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা ভারতকে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত এই প্রাণঘাতী হামলায় শহিদ হয়েছেন একাধিক ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনার পরই ভারতীয় সেনা প্রতিশোধOperation Sindoor) নিতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’Operation Sindoor) — একটি কৌশলগত ও সফল অভিযান, যার মাধ্যমে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে দেশের রাজনৈতিকOperation Sindoor) ও কূটনৈতিক মহলে। দেশের সর্বস্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে, আর বিরোধী দলগুলিOperation Sindoor) সরকারের কাছে দাবি তোলে সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকার। কেন্দ্রীয় সরকারওOperation Sindoor) সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ অধিবেশনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
বর্তমানে সংসদের একাধিক প্রতিনিধি বিদেশ সফরে Operation Sindoor) রয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই— আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের জঙ্গি-সমর্থক ভূমিকা তুলে ধরা। পহেলগাঁও হামলার পর যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার অন্যতম স্তম্ভ এই সফর। প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, সরকারOperation Sindoor) ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে Operation Sindoor) চরিত্র তুলে ধরছেন। এই সফর শেষ হলে, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই অধিবেশন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা স্পষ্ট— পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুর এবং আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের পক্ষ থেকে যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণOperation Sindoor) সংসদের কার্যবিবরণীতে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করা। এই বিশেষ অধিবেশনের শুরুতে Operation Sindoor) বক্তব্য রাখবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সেনার ভূমিকা, অভিযানের কৌশল এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে সংসদকে অবহিত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর সংসদের বিদেশ সফরে যাওয়া প্রতিনিধিরা Operation Sindoor) তাদের অভিজ্ঞতা সংসদের সামনে উপস্থাপন করবেন। কীভাবে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে ধরেছেন, Operation Sindoor) কী প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন— এই সবই থাকছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মধ্য দিয়ে এই অধিবেশন শেষ হতে পারে বলে জল্পনা চলছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনের লক্ষ্য শুধু সংসদে Operation Sindoor) আলোচনা নয়, বরং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রে একOperation Sindoor) ঐতিহাসিক দলিল তৈরি করা। এটি ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কৌশল নির্ধারণে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এদিকে বিরোধীপক্ষও অধিবেশনেরOperation Sindoor) প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা একদিকে যেমন সরকারের জঙ্গি মোকাবিলার পদক্ষেপের প্রশংসা করছে, তেমনি তথ্যের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তাOperation Sindoor) ব্যর্থতা এবং জবাবদিহিতার দাবি জানাচ্ছে। ফলে এই অধিবেশন কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তবিক অর্থেই একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পর্ব হতে চলেছে।
সব মিলিয়ে, পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়া ও অপারেশন সিঁদুরেরOperation Sindoor) কৌশলগত সাফল্য ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশন সেই ইতিহাসকে নথিভুক্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ভারতের শক্ত অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলবে।
