Drone: ভারত ক্রমাগত তার সামরিক শক্তি জোরদার করছে, এবং এখন তারা আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম মারাত্মক অস্ত্র ‘সুইসাইড ড্রোন’-এর মজুদ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমন দূরপাল্লার উন্নত ড্রোন অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে, যেগুলো শত্রুর দুর্গে প্রবেশ করে তাকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পর এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য এবং নতুন প্রস্তুতি
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এখন তাদের মজুদে আরও দূরপাল্লার লঘুপাল্লার যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত করতে চলেছে, সাম্প্রতিক সফল আক্রমণের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। IDRW-এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক উন্নত দূরপাল্লার লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি শেল, কামিকাজে ড্রোন এবং দৃশ্যমান-পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের সময় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তির কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে দ্বিগুণ শক্তিতে হামলা চালানো যেতে পারে।
এই ‘সুইসাইড ড্রোন’ এবং তাদের শক্তি কী?
লোইটারিং মিনিশনগুলি সাধারণত ‘কামিকাজে ড্রোন’ নামেও পরিচিত। এগুলিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এগুলিকে আধুনিক যুদ্ধে একটি অপরিহার্য অস্ত্র করে তোলে।
এই অস্ত্রগুলি শত্রু অঞ্চলের উপর দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে। এগুলি তাদের মধ্যে স্থাপিত বিশেষ সেন্সরের সাহায্যে শত্রুকে শনাক্ত করে এবং তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ভুলতার সাথে আক্রমণ করে। তারা এত দ্রুত সঠিক লক্ষ্যবস্তু বেছে নেয় যে তারা রাডার এবং কমান্ড সেন্টারের মতো বড় লক্ষ্যবস্তুগুলিকেও সহজেই লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ‘হারোপ’ ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ড্রোনগুলি শত্রুর বায়ু প্রতিরক্ষা ধ্বংস করার জন্য তৈরি এবং 9 ঘন্টা বাতাসে অবস্থান করে কাজ করতে পারে।
পাকিস্তানের জন্য হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে
এই ড্রোনগুলি পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং চিন থেকে প্রাপ্ত HQ-9 ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং পাকিস্তান বায়ুসেনার (PAF) বেশ কয়েকটি রাডার ধ্বংস করে দেয়। এই সাফল্য তাদের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। HQ-9 এবং HQ-16 ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পাকিস্তানের বায়ু প্রতিরক্ষার একটি প্রধান অংশ। তাদের ধ্বংস চিনা অস্ত্রের সাহায্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি প্রকাশ করে, ভারতের নতুন কৌশলের মুখে তাদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
রিপোর্ট অনুসারে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ৮ জুন ২০২৫ তারিখে দূরপাল্লার লটারিং গোলাবারুদ এবং অন্যান্য নতুন অস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল পাকিস্তানের চিনা অস্ত্রের উপর ভারতের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি কী?
এই পদক্ষেপ ভারতের নির্ভুল আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং বিশেষ বিষয় হল এটি করার মাধ্যমে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলিকে বিপদে ফেলতে হবে না। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একই সাথে, দূরপাল্লার লঘুপাতের এই নতুন অস্ত্রশস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিকীকরণের দিকে একটি বিশাল পদক্ষেপ।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য দেখিয়েছে যে আজকের যুদ্ধে এই অস্ত্রগুলি কতটা কার্যকর। এগুলি সৈন্যদের ঝুঁকি নেওয়া থেকে বাঁচায় এবং দূর থেকে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালাতে সাহায্য করে।