Nagaland: বড়দিনের আগেই রক্তাক্ত নাগাভূমি, নাগা পাহাড়ে ভয়ের মেঘ

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আসন্ন বড়দিনের আগেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগাল্যান্ড (Nagaland) হয়ে গেল ফের রক্তাক্ত। নাগাল্যান্ডের জঙ্গি হামলা উপদ্রুত মন জেলা। সেখানকার ওটিং গ্রামে অনুপ্রবেশকারী ও…

Nagaland

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আসন্ন বড়দিনের আগেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগাল্যান্ড (Nagaland) হয়ে গেল ফের রক্তাক্ত।
নাগাল্যান্ডের জঙ্গি হামলা উপদ্রুত মন জেলা। সেখানকার ওটিং গ্রামে অনুপ্রবেশকারী ও সন্দেহজনক আচরণ মনে করে গুলি চালাল নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃত কমপক্ষে ১৩ জন। গ্রামবাসীদের প্রত্যাঘাত ১ জওয়ান মৃত বলে দাবি।

Advertisements

এর পরের পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে?
নাগা পাহাড় ফের রক্তাক্ত হবে? সেই রেশ ধরে অন্যান্য রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, মনিপুর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জম্পুই পাহাড়, লুসাই পাহাড় গারো-জয়ন্তিয়া-খাসি পাহাড় জুড়ে ভয়ের মেঘ ছড়িয়েছে। আশঙ্কার হরেক প্রশ্ন জন্মাতে শুরু করেছে।

   

উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতি ও জনজাতির মধ্যে পারস্পরিক বৈরিতা থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) নিয়ে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভকে পুঁজি করে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি বদলা নিতে নামবে এমনই আশঙ্কা।

Mon district massacre

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রয়োগ নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রতিবাদ চলেই। অভিযোগ, বিশেষ ক্ষমতার বলে নিরীহরা অত্যাচারের মুখে পড়েন। আবার যে উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা হয় সেটি উত্তর পূর্বের জনজীবনেই লুকিয়ে আছে। একের পর এক ভয়াবহ হামলা তারই উদাহরণ। উল্টোদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে, উঠছেও।

আফস্পা আইনের প্রতিবাদে কখনও মনিপুরে মহিলারা নগ্ন হয়ে প্রতিবাদে সামিল হন, বিশ্ব স্তম্ভিত হয়। আবার কখনও প্রতিহিংসায় নেমে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। গুলি চলে, বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। জওয়ানদের মৃত্যু হয়। বছরের পর অনশনের নীরব প্রতিবাদও হয়েছে।

নাগাল্যান্ডের রক্তাক্ত ঘটনার পর আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর বদলা নিতে নাশকতা ঘটাবে সশস্ত্র নাগা গোষ্ঠীগুলি। মনে করা হচ্ছে, হামলায় মূল ভূমিকা নেবে ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় নারাজ নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন NSCN(K) গোষ্ঠী। প্রয়াত নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এসএস খাপলাং কোনওদিনই শান্তি আলোচনা চাননি। মায়ানমারের ঘাঁটি থেকে তার নির্দেশে বারবার নাশকতা ঘটিয়েছে এনএসসিএন। তবে খাপলাং প্রয়াত হবার পরে সংগঠনে চিড় ধরে। অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা নিকি সুমি তার গোষ্ঠী নিয়ে নাশকতা ঘটাচ্ছে।

মন জেলার ঘটনায় নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও দু:খ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দু:খপ্রকাশ কতটা শান্তির জল এই রক্তাক্ত পর্বে ছিটিয়ে দিল সেটি আলোচ্য। তবে ভয়াবহ হামলার আশঙ্কা কালো মেঘের মতো ঘিরে নিয়েছে নাগা পাহাড়।