News Desk: প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে অসমের সীমা বিবাদ দীর্ঘদিন চলছে। তারই রক্তাক্ত মুহূর্ত সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। অসম ও মিজোরামের পুলিশ পরস্পর গুলির লড়াই চালিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে পুলিশের মৃত্যুর এমন রক্তাক্ত পরিস্থিতি দেশে নজিরবিহীন। সেই সমস্যা কাটেনি।
শুধু মিজোরাম নয়, অসমের সঙ্গে প্রতিবেশি রাজ্য মেঘালয়ের সীমানা বিতর্ক রয়েছে। এই সমস্যা সমাধান করতে অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সরকারের তরফে। মঙ্গলবার অসম মেঘালয় সীমানার লাম্পি সফর করেন ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
অসমের কামরূপ জেলার বিবাদমান লাম্পিতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। প্রথমবারের জন্য এগিয়ে এসেছে ওই দুই রাজ্যের সরকার। ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা ।সেইসঙ্গে সীমানা পরিদর্শন করেন।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান,সীমা বিবাদ মিটাতে এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার গত ছয় মাস ধরে প্রতিবেশী রাজ্যটি সঙ্গে সীমা বিবাদের সমস্যা সমাধানের পথ বের করতে ব্যস্ত ছিল। আর আজ সেই পথ পেরিয়ে গেছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা মানুষের মধ্যে ভাতৃত্বের মানসিকতা, ঐক্য সম্প্রীতির মানসিকতা আমরা বের করতে হবে। উভয় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এর জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। শুধু তাই নয়,এই সফর সীমা বিবাদ সমস্যা সমাধানে নতুন মাত্রা প্রদান করবে বলেও মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
অসম সরকারের এখানে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাকে ঐতিহাসিক বলেই মনে করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তিনি বলেন,সীমানা সমস্যা সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আগামী দিনে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সদিচ্ছার বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
উল্লেখ্য অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে বিতর্কিত ১২ টি বিবাদমান অঞ্চল আছে। এরমধ্যে প্রারম্ভিক পর্যায়ে ৬টি জটিল এলাকাকে নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর কমিটিগুলো পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীদের হাতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর শর্মা আরো জানান,প্রতিবদেন আমাদের টেবিলে আসার পর ফের আলোচনায় বসব।
<
p style=”text-align: justify;”>আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মেঘালয়ের সাথে সীমা বিবাদের সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তবে ওই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনায় আগামী দিনে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটা নিশ্চিত।