ভোটের মুখে চাকরি হারালেন আরও ২২৩ জন, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের

লোকসভা ভোটের মুখে এবার চাকরি হারালেন ২০০ জনেরও বেশি আধিকারিক। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার নির্দেশে দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মীকে…

লোকসভা ভোটের মুখে এবার চাকরি হারালেন ২০০ জনেরও বেশি আধিকারিক। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার নির্দেশে দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মীকে অপসারণ করা হয়েছে।

Image

   

অভিযোগ, দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল তাঁর আমলে বিনা অনুমতিতে এই কর্মীদের নিয়োগ করেছিলেন। কর্মচারীদের অপসারণের এই আদেশে ডিসিডব্লিউ আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কমিশনে মাত্র ৪০টি পদ অনুমোদন রয়েছে।

Image

মহিলা কমিশনের কর্মী রাখার কোনও ক্ষমতা নেই। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের আদেশে ১৯৯৪ সালের দিল্লি মহিলা কমিশন আইনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত, মহিলা কমিশনে ২২৩ টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর ডিডাব্লিউসিডির পক্ষ থেকে ডিসিডব্লিউকে জানানো হয়, প্রশাসনিক বিভাগ ও অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ওই অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অতিরিক্ত আর্থিক দায়বদ্ধতার কোনো কাজ করবে না।

এরপর ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর জেলা মহিলা কমিশনকে ফের জানানো হয়, এই ২২৩টি পদ সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন নেই। দিল্লি মহিলা কমিশনের অতিরিক্ত ডিরেক্টরের জারি করা এই আদেশে আরও বলা হয়েছে যে নতুন নিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় পদগুলির কোনও মূল্যায়ন করা হয়নি বা অতিরিক্ত আর্থিক বোঝার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বাতী মালিওয়াল। আম আদমি পার্টির হয়ে রাজ্যসভায় সাংসদ পদের জন্য তাঁকে মনোনীত করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যে ২২৩ জন কর্মীকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের স্বাতী মালিওয়ালের আমলে রাখা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্বাতী মালিওয়ালের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে কর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠছে।