‘খেলা’ কাকে বলে এবার বুঝছে চিন, গালওয়ান ঘটনার পাল্টা দিচ্ছে ভারত

সালটা ছিল ২০২০ সাল। গালওয়ান সীমান্তে ১৫-১৬ জুনের রাতের ঘটনা আজও দেশবাসী ভুলতে পারেননি। গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ…

সালটা ছিল ২০২০ সাল। গালওয়ান সীমান্তে ১৫-১৬ জুনের রাতের ঘটনা আজও দেশবাসী ভুলতে পারেননি। গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে দেশের ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। ভারতীয় সীমান্তে পাহারারত ভারতীয় সেনাদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালায় চিন সেনারা। এ ঘটনায় কড়া জবাব দিয়েছে ভারত সরকারও। এ ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই দিন দিন যেন দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। তবে এরই মাঝে ভারত আরও কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে চিনকে চমকে দিল।

ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে করে চিনের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে খুব স্বাভাবিকভাবেই। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? ভারত সরকার চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রায় দুই লক্ষ চিনা নাগরিককে ভারতে ভিসা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরে ভারত চিনা নাগরিকদের ভিসা কমিয়ে দেয়। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত মাত্র ২০০০ চিনা নাগরিককে ভিসা দেওয়া হয়েছে।

   

গত আট মাসে মাত্র ১৫০০ চিনা নাগরিককে ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। শুধু ভিসাই নয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে ভারত। চিনে ভারতের রফতানির পরিমাণ মাত্র ৮.৯৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার।

মূলত পিএলআই স্কিমের (প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ) কারণে ২০২৪ অর্থবছরে ভারত ২৯.১২ বিলিয়ন ডলারের বৈদ্যুতিন পণ্য রফতানি করেছে, যা ২০২৩ অর্থবছরে ছিল ২৩.৫৫ বিলিয়ন ডলার। চিন ও অন্যান্য দেশের ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা কমাতে ভারত সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে।