ভোট পরবর্তী হিংসায় বেসামাল রাজ্য, গুলি বৃষ্টিতে মৃত ১, আহত অনেকে

লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার শিরোনামে উঠে এল বিহারের ছাপরা (Chapra)। জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে ছাপরা শহরের নগর থানার তেলপা এলাকায় নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে…

লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার শিরোনামে উঠে এল বিহারের ছাপরা (Chapra)। জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে ছাপরা শহরের নগর থানার তেলপা এলাকায় নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং আরজেডির (BJP RJD) দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয়। এরপরই গুলির শব্দ শোনা যায়।

এই ঘটনায় মৃত্যু অবধি হল মানুষের। জানা গিয়েছে, গুলির আঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চন্দন রাই (২৫) নামের এক যুবকের। একই সময় আহত অবস্থায় দুইজনকে ছাপরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। আহতরা হলেন বড়া টেলপার বাসিন্দা মনোজ রাই ও গুড্ডু রাই। দু’জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পাটনায় রেফার করা হয়। এদিকে চন্দন রাইয়ের মৃত্যুর পর সদর হাসপাতালে হট্টগোল শুরু করেছেন তাঁর স্বজনরা।

   

এদিকে গোলাগুলির খবর পাওয়া মাত্রই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমন সমীর ও পুলিশ ক্যাপ্টেন ড. গৌরব মঙ্গল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। সূত্রের খবর, গতকাল সোমবার ভোটের দিন আরজেডি প্রার্থী ডঃ রোহিনী আচার্য বড়া তেলপার বুথে পৌঁছালে বিজেপি ও আরজেডি সমর্থকের মধ্যে বচসা বাঁধে। বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও মঙ্গলবার সেই বিরোধ ফের চরম আকার নেয় এবং মুখোমুখি হয় দু’পক্ষ। এরপরই তুমুল বাকবিতণ্ডার জেরে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই গুলিতে মৃত্যু হয় চন্দন রাই নামের যুবকের। পুলিশ সব বিষয়ের তদন্ত করছে।

চন্দন রাইয়ের পরিবারের সদস্যরা একটি বিশেষ জাতের লোকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করছেন। তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চন্দন রায়ের ডান দিকের বুকে গুলি লেগেছে, যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। প্রাক্তন মন্ত্রী জিতেন্দ্র রাই এই ঘটনার বিষয়ে সদর হাসপাতালে পৌঁছেছেন এবং পুরো ঘটনার তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।