জয়পুর: চলতি মাসের শুরুতেই পরপর দুটি ভয়ংকর পথ দুর্ঘটনার (Accident) সাক্ষী থেকেছে মরুরাজ্য রাজস্থান। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ২ নভেম্বর জয়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পালোধি জেলায়। একটি দাঁড়িয়ে থাকা লড়িকে গিয়ে ধাক্কা মারে পর্যটক-বাহী ট্রাভেলার গাড়ি। ঘটনায় প্রায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু। এর ঠিক পরের দিন, ৩ নভেম্বর জয়পুরের (Jaipur) লোহামন্ডী রোডের কাছে ১৭ টি গাড়িকে পিষে দেয় বেপরোয়া ট্রাক।
ঘটনায় ট্রাকের চালক মদ্যপ (Drunk Driver) অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এবার তাই বেপরোয়া এবং মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নীল রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। জানা গিয়েছে, ৪ নভেম্বর থেকে ১৫ দিন ব্যাপী মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং অন্যান্য ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা অভিযান চালানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার (Bhajan Lal Sharma) নির্দেশে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে বলে বুধবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এই অভিযানের উপর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয় নজর রাখবে বলে জানা গিয়েছে।
বাজেয়াপ্ত হচ্ছে লাইসেন্স
এই অভিযানের আওতায়, পরিবহন ও পুলিশ বিভাগ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বা বারবার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ধরা পড়া ব্যক্তিদের ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত এবং বাতিল করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মহাসড়কগুলিতে টহল জোরদার করেছে পুলিশ। বেপরোয়া এবং ভুল দিকে গাড়ি চালানো রোধ করার জন্য প্রধান সড়কগুলিতে এনফোর্সমেন্ট টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, দুর্ঘটনা (Accident) রোধ করতে গণপূর্ত বিভাগ এবং জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) অবৈধ রাস্তার ধারের স্থাপনা অপসারণ শুরু করেছে। পাশাপাশি,রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিভাগকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী চালকদের চোখের পরীক্ষা করার এবং দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য ট্রমা কেয়ার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছে। এই অভিযানে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ম, সঠিক লেন ড্রাইভিং এবং হেলমেট ও সিট বেল্ট ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেলা কালেক্টর এবং পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টরা জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন তদারকি করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, ১৫ দিনের কর্মসুচীতেই বেপরোয়া গাড়ি চালক এবং মদ্যপ (Drunk Driver) অবস্থায় গাড়ি চালানো সম্পূর্ণভাবে রোধ করা যাবে কি না। এই কর্মসূচী সমাপ্ত হলে গাড়ির চালকরা ফের অনিয়ম শুরু করবেন কি না, সেই বিষয়ে সরকার কোনও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেবে কিনা এখন সেটিই দেখার।


