সীমান্তে পাকিস্তানের হামলা, নিহত অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে (Terrorist Attack)  ভয়াবহ সন্ত্রাসের শিকার হলেন এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। পাকিস্তানের দিক থেকে সংঘটিত গোলাবর্ষণে প্রাণ হারালেন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাজ…

Additional Deputy Commissioner of Rajouri Killed in Pakistani Shelling Near LoC

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে (Terrorist Attack)  ভয়াবহ সন্ত্রাসের শিকার হলেন এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। পাকিস্তানের দিক থেকে সংঘটিত গোলাবর্ষণে প্রাণ হারালেন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাজ কুমার থাপা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হামলার (Terrorist Attack)  সময় তিনি নিজের বাসভবনে ছিলেন, যেখানে পাক সেনার ছোঁড়া শেল সরাসরি আঘাত করে। প্রথমে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হলেও, পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় গোটা প্রশাসনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের (Terrorist Attack)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই ঘটনাকে “অপূরণীয় ক্ষতি” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “রাজৌরি থেকে ভয়াবহ খবর। আজ রাজৌরি (Terrorist Attack)  শহরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানি (Terrorist Attack)  গোলাবর্ষণ করে। এতে আমাদের অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার শ্রী রাজ কুমার থাপ্পা নিহত হন। এই ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করার মতো কোনও ভাষা আমার নেই।”

   

জানা গেছে, এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ কুমার (Terrorist Attack)  থাপা রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এক মানবিক প্রশাসকের পরিচয় দেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শুধু প্রশাসন নয়, স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও গভীর শোক ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সীমান্ত জুড়ে উত্তেজনা

এই হামলার (Terrorist Attack)  পাশাপাশি জম্মু, রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে ‘হেভি শেলিং’। ভোর রাত থেকেই একের পর এক বিস্ফোরণের (Terrorist Attack)  শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। একাধিক ব্যক্তি আহত হন, এবং অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে (Terrorist Attack)  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

শ্রীনগর, উরি, আখনুর, হামিরপুর, পাল্লানওয়ালা – সব এলাকাতেই পাকিস্তানি গোলার আঘাতে (Terrorist Attack)  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, সীমান্তে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি (Terrorist Attack)  অত্যন্ত উত্তপ্ত। শত্রুপক্ষের আগ্রাসন প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এমনকি, জম্মু এবং শ্রীনগরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ground-to-air missile system) সক্রিয় করা হয়েছে।

বিস্ফোরক উদ্ধার ও নিরাপত্তা সতর্কতা(Terrorist Attack)  

বিশনাহ এলাকায় উদ্ধার হয়েছে শক্তিশালী বিস্ফোরক(Terrorist Attack)  । সেনা এবং বম্ব স্কোয়াড যৌথভাবে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই ঘটনার পরে আরও বড়সড় হামলার আশঙ্কায় প্রশাসন উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

বিস্ফোরণের (Terrorist Attack)  শব্দ শোনা গিয়েছে জম্মু, উধমপুর এবং সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকাতেও। সকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ ডিব্বে অঞ্চলে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে স্থানীয় (Terrorist Attack)  বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের আগুনের খেলা শুরু হয়েছে। একজন সরকারি আধিকারিকের মৃত্যু কেবল প্রশাসনিক ক্ষতি নয়, তা জাতীয় নিরাপত্তা এবং মানবিকতার ওপর সরাসরি আঘাত। সীমান্তে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন, আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও চাপ প্রয়োগ করে পাকিস্তানকে এই আগ্রাসন থেকে বিরত রাখার প্রয়াস চালানো প্রয়োজন।

ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর কাঁধে এখন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, প্রতিশোধের (Terrorist Attack)  ভারও বর্তেছে। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানের রাস্তা খোলা রাখা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ।

Advertisements