সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমির মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা উদ্ধব ঠাকরে এই ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সমর্থনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। উদ্ধব বলেন, “অখিলেশ চাইলে আপত্তি জানাতে পারেন। কিন্তু গোটা মহারাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে। চাইলে তাঁকে উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচনে দাঁড় করাক। সত্যটা তাঁর জানা নেই।”
মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকর বুধবার আবু আজমিকে চলমান বাজেট অধিবেশনের পুরো সময়ের জন্য সাসপেন্ড করেন। আজমি বলেছিলেন, ঔরঙ্গজেব “নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন না” এবং “অনেক মন্দির তৈরি করেছিলেন।” তিনি আরও দাবি করেন, ঔরঙ্গজেব ও ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের লড়াই ধর্মীয় নয়, রাজ্য প্রশাসনের জন্য ছিল। এই মন্তব্যের জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হয়। মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেন, “আজমির মন্তব্য বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।” স্পিকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
অখিলেশ যাদব আজমির সাসপেনশনের সমালোচনা করে এক্স-এ লেখেন, “সাসপেনশন যদি মতাদর্শের প্রভাবে হয়, তবে মুক্তচিন্তা ও দাসত্বের মধ্যে পার্থক্য কী থাকবে? আমাদের বিধায়ক ও সাংসদদের নির্ভীক জ্ঞান অতুলনীয়। সাসপেনশন দিয়ে সত্যকে আটকানো যায় না। আমরা বিজেপি চাই না।”
এদিকে, মঙ্গলবার আজমি বলেন, তার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এক্স-এ একটি ভিডিওতে তিনি জানান, “আমি ইতিহাসবিদদের লেখা থেকে ঔরঙ্গজেব নিয়ে বলেছি। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বা সম্ভাজি মহারাজের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। তবু কারও মন আঘাত হলে আমি কথা প্রত্যাহার করছি ও ক্ষমা চাইছি।”
এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে অখিলেশের সমর্থনকে “সত্যের অজ্ঞতা” বলে কটাক্ষ করেছেন। আজমির মন্তব্য ও তার সাসপেনশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে।