পুরভোটে বিজেপির কাছে পর্যদুস্ত হলেও ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বাংলার শাসক দল। রবিবারই দু’দিনের সফরে ত্রিপুরায় পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এদিন আগরতলা (agartala) পৌঁছনোর পর খয়েরপুরে চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পুজো দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (general secretary)। পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। স্পষ্ট জানান, তৃণমূল (trinamul congress) লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ । তাঁর নেতৃত্বে ত্রিপুরায় হার্মাদরা পৈশাচিক আচরণ করছে। লাগাতার আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। ওরা ভাবছে ভয় দেখিয়ে আমাদের আটকে রাখবে। তবে ওরা ভুল ভাবছে। তৃণমূল হল বিশুদ্ধ লোহা, যত তাতাবে তত শক্তিশালী হবে। সিএম ২৫ বছরে এই রাজ্যকে যতখানি পিছিয়ে দিয়েছিল বিজেপির বিপ্লব দেব ৩ বছরে তার থেকে আরও অনেক বেশি পিছিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরায় ‘দুয়ারে গুন্ডা’ মডেল চলছে। তবে আর বেশিদিন এটা চলবে না। খুব তাড়াতাড়ি এ রাজ্যেও ‘দুয়ারে সরকার’ হবে।
শুধু তাই নয়, উন্নয়নের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের কথা তুলে ধরে অভিষেক এদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান। অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় কোনও উন্নয়নই হয়নি। এ রাজ্যে কটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে? কটা মেডিকেল কলেজ হচ্ছে? এখানকার রাস্তাঘাটের হাল কী? উন্নয়নের মডেলে লড়াই হোক। আমরা বুঝে নেব। বিজেপি সরকার ত্রিপুরার কী উন্নয়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি সেটা জানাবেন! ওরা যদি জানতে চায়, তৃণমূল সরকার বাংলার কী উন্নয়ন করেছে তবে আমরা এখনই সেটা জানিয়ে দেব।
এদিন বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে অভিষেকের একটি অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের জন্য আগাম আবেদন করা থাকলেও শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করে দেয় প্রশাসন। এদিন দুপুরে তেলিয়ামুড়ায় এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হন। তেলিয়ামুড়ায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অভিষেক। তেলিয়ামুড়ায় এদিন দলের একটি অফিসও উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন তিনি আগরতলার বড়দোয়ালিতে এক আক্রান্ত দলীয়কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। দলীয় কর্মীদের তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উৎসাহ দেন।
সন্ধ্যায় অভিষেক দলের শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় জেলায় সংগঠনকে মজবুত করার জন্য সকলকে এখন থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।