মেরুদণ্ড ভাঙল মাওবাদীদের, কুখ্যাত কমান্ডার আত্মসমর্পণ করল সরকারের কাছে

কথাতেই আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো। আজ শনিবার গড়চিরোলিতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করল এক কুখ্যাত মাওবাদী কমান্ডার ও তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, মাওবাদী…

কথাতেই আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো। আজ শনিবার গড়চিরোলিতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করল এক কুখ্যাত মাওবাদী কমান্ডার ও তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত মাওবাদী কমান্ডার গিরিধরের মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু আজ সে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করল।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন গিরিধর ও তাঁর স্ত্রী। উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তাঁদের হাতে ভারতীয় সংবিধানের কপি তুলে দেন এবং তাঁদের হাতে ২৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন উপর মুখ্যমন্ত্রী । এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায় উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উপস্থিতিতে স্ত্রী-সহ আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত মাওবাদী নাংসু তুমরেতি ওরফে গিরিধর।

   

তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা উসেন্দি ওরফে ললিতার নামে ১৭টি মামলা রয়েছে এবং তাঁর মাথার দাম ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। দুজনেই এক কথায় ত্রাস ছিলেন। ১৯৯৬ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র ইটাপল্লি দালামে যোগ দেওয়া গিরিধর গড়চিরোলিতে নিষিদ্ধ আন্দোলনের কার্যকলাপের প্রধান।

তার বিরুদ্ধে ১৭৯টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৮৬টি এনকাউন্টার ও ১৫টি অগ্নিসংযোগের মামলা রয়েছে। তার স্ত্রী সঙ্গীতা উসেন্দি ওরফে ললিতার নামে ১৭ টি মামলা রয়েছে এবং তার মাথার দাম ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। যাইহোক, এখন যেহেতু তাঁরা নিজেদেরকে সরকারের কাছে নিজে থেকে সপে দিয়েছে, সে কারণে আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা এবং ললিতা ৮.৫০ লক্ষ টাকা পাবেন।

ফড়নবিশ বলেন, গিরিধরের আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে গড়চিরোলির মাওবাদী আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে৷ মাওবাদী উপদ্রবের অবসান ঘটাতে এবং উগ্রপন্থীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে গড়চিরোলি পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি৷