UPI কাজ না করায় হাতের ঘড়ি খোয়াতে হল এক ব্যক্তিতে!

ভোপাল: ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’য় এক কাপ চা থেকে শুরু করে বড়সড় কেনাকাটা, ভারতের আমজনতা এখন UPI পেমেন্টেই বেশি স্বাচ্ছন্দ। খুচরো করানোর ঝামেলা নেই। এক ক্লিকেই হয়ে যায় ছোট থেকে বড় পেমেন্ট। যার ফলে এখন অনেকেই বাইরে বেরনোর সময় মানিব্যাগে পয়সা রাখা কার্যত ভুলতে বসেছেন।

Advertisements

কিন্তু এই UPI পেমেন্টের জেরেই ৫ টাকার শিঙাড়ার জন্য হাজার খানেক টাকার হাতঘড়ি খোয়াতে হল এক ব্যক্তিকে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর স্টেশনের একটি ঘটনা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ট্রেন ধরার আগে শিঙাড়া কিনতে যান এক ব্যক্তি।

৫-১০ টাকার শিঙাড়া কিনে UPI-এর মাধ্যমে টাকা দিতে গিয়েই হয় গেরো। ব্যাংকের সমস্যা বা টেকনিক্যাল কোনও গোলযোগের ফলে আটকে যায় পেমেন্ট। এদিকে শিঙাড়া বিক্রেতাও নাছোড়বান্দা। ট্রেন ধরার তাড়াহুড়োর মাঝেই ওই যাত্রীর কলার ধরে ফেলেন তিনি।

“পয়সা না মিটিয়ে যাওয়া যাবে না বলে”, হুমকি দেন ব্যক্তিকে। এই অবস্থায় বারংবার UPI-এর মাধ্যমে শিঙাড়ার দাম মেটানোর চেষ্টা করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনভাবেই পেমেন্ট না হওয়ায় শিঙাড়া বিক্রেতাকে হাতের ঘড়ি খুলে দিতে হয় তাঁকে!

ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

Advertisements

সমাজমাধ্যমে জব্বলপুর স্টেশনের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে আলোর গতিতে! অনেকেই বিক্রেতা নিন্দা করেন তো অনেকে আবার শিঙাড়া বিক্রেতার সপেক্ষেই মন্তব্য করেন। ঘটনা সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিম মধ্য রেলওয়েও। ওই শিঙাড়া বিক্রেতার নাম সন্দীপ গুপ্ত, বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।

পশ্চিম মধ্য রেলওয়ের CPRO হর্ষিত শ্রীবাস্তব জানান, জব্বলপুর স্টেশনে শিঙাড়ার পরিবর্তে এক যাত্রীর হাতঘড়ি ছিনিয়ে নিয়েছেন এক বিক্রেতা। ওই বিক্রেতাকে শনাক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেলওয়ে আইনের আওতায় শিঙাড়া বিক্রেতা সন্দীপ গুপ্তকে গ্রেফতার করে তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

তবে সমাজমাধ্যমে শিঙাড়া বিক্রেতার বিরুদ্ধে এত কঠোর পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, ওই বিক্রেতা শুধুমাত্র তাঁর বিক্রিত জিনিসের দাম চেয়েছেন। তার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা এবং তাঁর ব্যাবসার ক্ষতি করা অনুচিত।