ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের আক্রমণে ৯ জন নিহত

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর (Chhattisgarh) জেলার কুত্রা এলাকায় মাওবাদীরা এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক সুরক্ষা বাহিনীর গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে ৮ জন জওয়ান এবং ১ জন চালক…

9 Killed as Maoists Blow Up Security Vehicle in Chhattisgarh

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর (Chhattisgarh) জেলার কুত্রা এলাকায় মাওবাদীরা এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক সুরক্ষা বাহিনীর গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে ৮ জন জওয়ান এবং ১ জন চালক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল ২:১৫ নাগাদ এই হামলা হয়, যখন নিরাপত্তা বাহিনী (Chhattisgarh)  একটি স্করপিও এসইউভি গাড়িতে করে কুত্রা এলাকার দিকে যাচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে ৮ জন সিআরপিএফ (কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) জওয়ান এবং ১ জন গাড়ির চালক ছিলেন।

এই হামলার পর থেকে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে উঠেছে, এবং নিরাপত্তা (Chhattisgarh) বাহিনী উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযানে নেমেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, হামলাটি মাওবাদী সংগঠনের কাছ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, যা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাওবাদীরা (Chhattisgarh)  এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আক্রমণ চালিয়ে আসছে, এবং গত কয়েক বছরে তাদের কর্মকাণ্ড আরও তীব্র হয়েছে।

   

এই হামলার আগেই, সকাল বেলায়, ছত্তিশগড়ের আবুজমাদ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করে এবং সেখানে ৫ জন মাওবাদীকে নিহত করে। নিহতদের মধ্যে ২ জন নারী মাওবাদীও ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, অভিযান চলাকালীন তাদের কাছ থেকে একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে এ.কে. ৪৭ এবং সেলফ-লোডিং রাইফেল অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযান থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে মাওবাদী গোষ্ঠী এখনও অত্যন্ত সজ্জিত এবং তারা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে।

নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করার পাশাপাশি, ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত কুত্রা এলাকায় হামলার স্থান থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই হামলার পর পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী, এবং অভিযুক্ত মাওবাদীদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে।

এই ধরনের হামলা চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বাহিনী আরও শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মাওবাদী তৎপরতা ছত্তিশগড়ের Bastar অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, তবে এই সাম্প্রতিক হামলা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও কঠোর করার পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণের সহযোগিতাও চাওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, এবং দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবরকম চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।