গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়ার প্রাণহানির পরিসংখ্যানে হাড়হিম! তালিকায় শীর্ষে কোন দেশ?

লাখের উপর ভারতীয় পড়ুয়া প্রতি বছর বিদেশে পড়তে যান। কিন্তু, এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের স্বপ্নপূরণ অধরাই থেকে যায়। অকালেই ঝরে যায় তাঁদের প্রাণ। গত পাঁচ…

633 Indian Students Died Abroad In Last 5 Years, গত পাঁচ বছরে বিদেশে ৬৩৩ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা।

লাখের উপর ভারতীয় পড়ুয়া প্রতি বছর বিদেশে পড়তে যান। কিন্তু, এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের স্বপ্নপূরণ অধরাই থেকে যায়। অকালেই ঝরে যায় তাঁদের প্রাণ। গত পাঁচ বছরে বিদেশে ৬৩৩ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্যতম এই দেশে বিগত পাঁচ বছরে ১৭২ জন ভারতীয় পড়ুয়ার প্রাণহানি ঘচেঠে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং লোকসভায় এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

হামলার কারণে বিগত পাঁচ বছরে কানাডাতে নিহতের হার সবচেয়ে বেশি। ওই সময়কালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিহত হয়েছেন ৬ জন ভারতীয় পড়ুয়া। হামলার কারণে বিগত পাঁচ বছরে বিদেশে মোট ১৯ জন ভারতীয় ছাত্র নিহত হয়েছেন।

   

৬৩৩টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ১০৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ৫৮টি ব্রিটেনে, ৫৭টি অস্ট্রেলিয়ায় এবং রাশিয়ায় ৩৭টি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তারিফ-যোগ্য উদ্যোগ কেন্দ্রের, এবার ১৬ হাজার ফুটেও সেনাদের জন্য মোবাইল সংযোগ

এছাড়াও, ইউক্রেনে ১৮টি, জার্মানিতে ২৪টি, জর্জিয়া, কিরগিজস্তান এবং সাইপ্রাসে ১২টি এবং চিনে ৮টি ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, “মন্ত্রকের কাছে উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক কারণ, দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণে গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের মৃত্যুর ৬৩৩টি ঘটনা ঘটেছে।” তাঁর সংযোজন, “বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা প্রদান করা ভারত সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। বিদেশে ভারতীয় মিশন/পোস্টগুলি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নথিভুক্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখে।”

একটি পৃথক প্রশ্নে, কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, গত তিন বছরে মোট ৪৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে। তবে কেন এই কঠিন পদক্ষেপ তা সেদেশের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে মোদীর মন্ত্রীর কথায়, “অ-অনুমোদিত কর্মসংস্থান, বহিষ্কার এবং স্থগিতাদেশ, ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের রিপোর্ট তৈরির ব্যর্থতা হল দেশে ফেরক পাঠানোর সম্ভাব্য কারণ। অনেক সময় ভিসা জটিলতার ফলেও একজন পড়ুয়ার ভিসা বাতিল হতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হতে পারেন।”