রাইপুর: সম্প্রতি কফ-সিরাপ বিষক্রিয়ায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা। এবার ফের ছিন্দওয়ারারই একটি গ্রামে বিষক্রিয়ার জেরে ৬০ জনের অসুস্থতার খবর সামনে উঠে এল। তবে এবার আর সিরাপ নয়, কুয়োর জল (Well Water) খেয়েই রাজোলা গ্রামের প্রায় ১৫০ পরিবারের ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ছিন্দওয়ারার মহকুমা শাসক হেমকরণ ধ্রুব।
বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদসংস্থাকে জানান, “আমাদের কাছে ১৫০ পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্যের বমি এবং ডাইরিয়া হওয়ার খবর আসে। গতকাল অসুস্থদের বাড়ি থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।” জানা গিয়েছে, গ্রামের কুয়ো থেকেই পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকে ওই ১৫০ পরিবার।
কুয়োটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, তাতে ৪ টি পায়রা মরে পড়ে আছে। সেই থেকেই বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে কুয়োর জল। যা খেয়ে ভয়ংকর ডাইরিয়ায় ভুগছেন ৬০ জন গ্রামবাসী।
মহকুমা শাসক বলেন, “আগামী ২-৩ দিনের জন্য রাজোলা গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লেও রোগীদের অবস্থা গুরুতর নয়। তাঁদেরকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করে রাখা হয়েছ। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কোনোরকম অবহেলা হলে, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে”।
ছিন্দওয়ারাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়
যে Coldrif কফ সিরাপের জেরে উত্তাল হয়েছিল সমগ্র দেশ, তার সূত্রপাত হয় মধ্যপ্রদেশের এই জেলা থেকেই। রাজ্যে মোট ২০ জন শিশুর ওই কফ সিরাপ থেকে বিষক্রিয়ার জেরে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ১৭ টি শিশুই ছিল ছিন্দওয়ারার।
এছাড়াও বেতুল জেলায় ২ এবং পান্ধুরনা জেলায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়ার পর নতুন আইন এনে ওষুধ তৈরি থেকে শুরু করে বিতরণ ও বিক্রির উপর কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ধরণের কফ সিরাপ বিক্রির উপর পরামর্শমূলক সতর্কতা জারি করেছে WHO।
