জঙ্গলে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা ও সোনা

মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের জঙ্গলে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকা (Gold Cash recovery) গতকাল রাতে লোকায়ুক্ত পুলিশ ও আয়কর…

52 Kg Gold and Rs 10 Crore Cash Found in Abandoned Car in Bhopal Forest

মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের জঙ্গলে একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকা (Gold Cash recovery) গতকাল রাতে লোকায়ুক্ত পুলিশ ও আয়কর দপ্তরের যৌথ অভিযানে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গাড়িটির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫২ কেজি সোনা, যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা, এবং ১০ কোটি টাকার নগদ।

গাড়ি থেকে সোনা ও নগদের সন্ধান
সূত্রের খবর, ভোপালের একটি প্রত্যন্ত জঙ্গলে একটি বিলাসবহুল গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লোকায়ুক্ত পুলিশ ও আয়কর দপ্তরের টিম। গাড়িটিতে তখন কোনও আরোহী ছিল না। তবে দুটি বড় ব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকা।

   

সোনার পরিমাণে চমক
উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ৫২ কেজি, যা অর্ধেক কুইন্টালের চেয়েও বেশি। বাজারমূল্য অনুযায়ী, এই সোনার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এত পরিমাণ সোনা সাধারণত কোনও সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রম বা বড় চোরাচালানের অংশ হতে পারে।

নগদ টাকার হিসাব
সোনার পাশাপাশি গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ ১০ কোটি। সমস্ত নোটই উচ্চ মূল্যের, এবং এগুলো নতুন নোট বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। নগদ টাকাগুলির উৎস এখনও স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো কোনও বেআইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

অপরাধীদের খোঁজে তদন্ত চলছে
ঘটনাস্থলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাড়ির মালিকের খোঁজে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে মালিকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, সোনা ও নগদের প্রকৃত মালিকানা এবং এই বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছে আয়কর দপ্তর।

লোকায়ুক্ত পুলিশের বক্তব্য
লোকায়ুক্ত পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এত বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার হওয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক। আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। গাড়ির মালিক এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সোনা ও নগদ টাকাগুলির উৎস জানার জন্য আয়কর বিভাগ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।”

স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ভোপালের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ সোনা ও টাকার উদ্ধার ঘিরে নানা রকম জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ একে বড়সড় চোরাচালানের ঘটনা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বেআইনি সম্পত্তি হতে পারে।

আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি
উদ্ধার হওয়া সোনা ও নগদ টাকা আপাতত আয়কর দপ্তরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ফোরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গাড়ি এবং উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকার উদ্ধার ভোপালের জঙ্গলে একটি বড়সড় চোরাচালানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তদন্তের পরই জানা যাবে, এর পেছনে কারা জড়িত এবং সোনা-টাকার প্রকৃত মালিক কে। আপাতত গোটা ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও কৌতূহল তুঙ্গে।