গত মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর ভিলুপুরম রেলস্টেশনের কাছে একটি বড় দুর্ঘটনা হতে পারত, কিন্তু রেলকর্মীদের সতর্কতা ও তৎপরতায় প্রাণহানি ঘটেনি। পুদুচেরিগামী এক যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়, কিন্তু সৌভাগ্যবশত, লোকো পাইলট বা চালকের দ্রুত সিদ্ধান্তের ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে, যখন ট্রেনটি ভিলুপুরম রেলস্টেশন ছেড়ে পুদুচেরির দিকে রওনা দেয়। ট্রেনটি কিছুটা এগোতেই হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে সাথে ট্রেনের মধ্যে প্রবল ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে, যাত্রীদের প্রাণে বিপদ না আসতে, চালক দ্রুত ট্রেনটি থামিয়ে দেন। তিনি দ্রুত নিকটবর্তী স্টেশনে দুর্ঘটনার খবর পাঠান এবং রেলকর্মীরা সাহায্যের জন্য এসে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেন।
রেল সূত্রে জানা গেছে, চালকের তৎপরতার কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে, ঘটনাটি এখনও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে যাত্রীদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, যাতে জানার চেষ্টা করা হয় কেন ট্রেনটি লাইনচ্যুত হল। রেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি, তবে তারা যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতজুড়ে ট্রেন দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে বার বার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এর ফলে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রেলের পরিকাঠামো এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের দুর্বলতা এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে। সঠিক সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রেললাইনগুলো সংস্কার করা জরুরি, যাতে ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এছাড়া, রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষিত লোকো পাইলট এবং রেলকর্মীদের আরও সতর্ক হতে হবে, যেন যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি কমানো যায়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রেল চলাচলে আরো সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। দুর্ঘটনার তদন্তের পর যদি কোন প্রযুক্তিগত বা অপারেশনাল ত্রুটি পাওয়া যায়, তবে তা দ্রুত ঠিক করতে হবে।
এদিকে, এই ঘটনার পর, ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দুর্ঘটনা তদন্ত করছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে।