ট্রাক এবং টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৫, আহত ১৪!

জয়পুর: ট্রাকের সঙ্গে তীর্থযাত্রীদের টেম্পোর মুখোমুখি সংঘর্ষে (Accident) মৃত্যু হল ৫ জনের, আহত প্রায় ১৪। শনিবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুরের ১২৫ নং জাতীয় সড়কের উপর খরি বাড়ি গ্রামে, বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত এমডিএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisements

হাসপাতালের সুপার ডঃ বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ১৪ জন আহতের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের পেটে, একজনের বুকে একজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতাল সুপার বিকাশ কুমার আরও জানান, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আমরা দুর্ঘটনার কোথা জানতে পারি।

   

ট্রাক ও টেম্পো গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষে (Accident) আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার পর মোট ১৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন ডঃ বিকাশ কুমার। তিনি আরও জানান, জেলা কালেক্টরের ফোন পেয়েই আহতদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি এড়ানো গিয়েছে বলে জানান তিনি।

সড়ক নিরাপত্তা অভিযানের মাঝেই দুর্ঘটনা

Advertisements

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই পরপর দু-দিন ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মরু-রাজ্য রাজস্থান (Rajasthan)। ২ নভেম্বর জয়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পালোধি জেলায় একটি তীর্থযাত্রীদের টেম্পো ট্রাভেলার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা লড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনায় প্রায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর ঠিক পরের দিন, ৩ নভেম্বর জয়পুরের (Jaipur) লোহামন্ডী রোডের কাছে ১৭ টি গাড়িকে পিষে দেয় বেপরোয়া ট্রাক।

এরপর ৪ নভেম্বর থেকে ১৫ দিন ব্যাপী মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং অন্যান্য ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা অভিযান শুরু করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। ১৮ নভেম্বর এই কর্মসূচী শেষ হতে চলেছে। তার আগেই ফের রাজ্যে পথ দুর্ঘটনা। পূর্বে জানানো হয়েছিল, এই কর্মসূচীর উপর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার কার্যালয় থেকে নজরদারি চালানো হবে।

এই অভিযানের আওতায়, পরিবহন ও পুলিশ বিভাগ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বা বারবার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ধরা পড়া ব্যক্তিদের ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত এবং বাতিল করা হচ্ছিল। মহাসড়কগুলিতে টহলদারিও জোরদার করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তার মধ্যেই শনিবার কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল সেই ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি প্রশাসন।