আরব সাগর তীরে কাকা-ভাইপোর লড়াইতে বাজিমাত শরদ পাওয়ারের। ভাইপো অজিতের গোষ্ঠী ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের পিম্পরি ছিন্চওয়াড়ের চার পদস্থ নেতা। মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট আসন্ন। তার আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের শিবির বদলে রীতিমত তোলপাড় মারাঠা রাজনীতি। সূত্রের খবর, অজিত গোষ্ঠীর ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে দলত্যাগীরা শরদের দলে যোগ দেবেন।
পিম্পরি ছিন্চওয়াড় ইউনিটের প্রধান অজিত গাওহানে সহ মোট চারজন শীর্ষস্তরীয় নেতা অজিত পাওয়ারের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। অন্যরা হলেন, ওই অঞ্চলের ছাত্র সংগঠন নেতা যশ সানে, প্রাক্তন এক কাউন্সিলার রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকর।
লোকসভা ভোটে শিন্ডে সেনা-বিজেপি-অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ধসের মুখে পড়েছে। রাজ্য বিধান পরিষদ নির্বাচনে এই জোট জিতলেও নেতৃত্বের মধ্যে নানান বিষয়ে ক্ষোভ ছিল। এই চার নেতার দলত্যাগ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রকাশ পেল উচ্চমাধ্যমিক সেমিস্টারের রুটিন, পরীক্ষা কবে জেনে নিন
গত মাসেই শরদ পাওয়ার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, যাঁরা দলকে দুঃসময়ে ফেলে আখের গোছাতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের কাউকে ফেরত নেওয়া হবে না। তবে যাঁরা দলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট না করে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে।
অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দলত্যাগী অজিত গাওহানের কীসের বিরোধ? জানা গিয়েছে যে, কয়েকদিন আগেই গাওহানে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে ভোসারি আসনের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে ওই আসনে দু’বার জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী। সেই অর্থে পদ্ম শিবিরই ওই কেন্দ্রের যোগ্য দাবিদার। জোটধর্ম বজায় রাখতে গাওহানির দাবি ধোপে টেকেনি। তারপরই গাওহানের ক্ষোভ বাড়ে। তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
২০২৩ সালে কাকা এবং এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহের পর পাওয়ার পরিবার দু’টি রাজনৈতিক শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়। শরদ পাওয়ার বিরোধী শিবিরে থাকাকালীন, অজিত পাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন ‘মহাযুতি সরকারে’ যোগ দেন এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ পান।



