সাতসকালে কাঁপল দিল্লি, মাত্র ৫ কিমি গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল! আতঙ্কে ঘরছাড়া মানুষ

কলকাতা: তখনও ভোরের আলো ফোটেনি৷ ঘুম ভাঙেনি দিল্লিবাসীর৷ ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে উঠল রাজধানী৷ ভয়ঙ্কর সেই অনুভূতি৷ এতটাই তীব্র সেই কম্পন যে, মনে হল…

Huge Noise Follows Earthquake in Delhi, Residents Express Concern

কলকাতা: তখনও ভোরের আলো ফোটেনি৷ ঘুম ভাঙেনি দিল্লিবাসীর৷ ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে উঠল রাজধানী৷ ভয়ঙ্কর সেই অনুভূতি৷ এতটাই তীব্র সেই কম্পন যে, মনে হল পায়ের তলা দিয়ে দানবীয় কোনও বস্তু চলাচল করছে৷ কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে মানুষ৷  যদিও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা মাত্র ৪। তাহলে এত তীব্র কম্পন অনুভূত হল কেন? 

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়ার দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে৷ মাটি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। সেই কারণই এত তীব্র কম্পন৷ কম্পন এতটাই জোরাল ছিল যে, ঘরবাড়ি পুরো নড়ে ওঠে। তবে, এই কম্পন মাত্র ৪-৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। এর পর কম তীব্রতায় আফটার শক অনুভূত হয়। যাঁরা বহুতলে থাকেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নেমে আসতে পারেননি। ফলে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যেই ছিলেন। 

   

দিল্লি-এনসিআর-এর পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও হতাহতের খবর নেই। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কেন্দ্রস্থলের কাছেই একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর ওই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১৫ সালে শেষ বার এই অংশের মাটি কেঁপে উঠেছিল৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল মাত্র ৩.৩।  

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে  ভূমিকম্পের মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো৷ দিল্লিবাসীর দাবি, শুধু কম্পন অনুভূতই হয়নি, মাটির নীচ থেকে গর্জনের মতো ঘর ঘর শব্দও কানে এসেছে। কেউ আবার চুলে ধরেছে বন্ধ পাখা দুলে ওঠার ছবি৷ কেউ আবার রাস্তায় বেরিয়ে আসার পর কম্পনের ভিডিয়ো করেছেন। এক দিল্লিবাসী সোশ্যীল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘তীব্রতা মাত্র ৪? আরও বেশি মাত্রার কম্পন বলে মনে হচ্ছে। বাড়ির উপরের তলায় থাকলে কি বেশি কম্পন বোঝা যায়?’’ অপর এক জনের কথায়, ‘‘এই প্রথম বার অ্যালার্ম ঘড়ি ছাড়াই ঘুম ভেঙে গেল!’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘তীব্র ভূমিকম্প। মনে হল, মাটির নীচ দিয়ে গডজিলা হেঁটে গেল।’’