ছত্তিশগড়ে মাওবাদী সংঘর্ষে নিহত ৩১ জন মাওবাদী সহ ২ নিরাপত্তা কর্মী

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার জাতীয় উদ্যান এলাকায় রবিবার এক মাওবাদী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী এবং ২ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ সুত্রে খবর,…

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার জাতীয় উদ্যান এলাকায় রবিবার এক মাওবাদী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী এবং ২ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ সুত্রে খবর, দুপুর ১২ টা নাগাদ সংঘর্ষের শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক বিশেষ অভিযানে।

প্রাথমিকভাবে, নিহত মাওবাদীর সংখ্যা ১২ জন বলে জানানো হলেও, পরবর্তীতে বস্তারের পুলিশ মহাপরিদর্শক পি সুন্দররাজ নিশ্চিত করেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন হয়েছে। গত ৩১ শে জানুয়ারি বিজাপুরে অন্য এক অভিযানে ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিল, যার পরবর্তীতে এই অভিযানে আরও এক বড় সংঘর্ষ ঘটেছে।

   

অপারেশনটি হয়েছিল যখন নিরাপত্তা বাহিনী একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করছিল। এই অভিযানটি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী, বিশেষ টাস্ক ফোর্স এবং কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন)-এর সদস্যরা অংশগ্রহণে চলছিল।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তারা মাওবাদীদের ‘ওয়েস্ট বস্তার ডিভিশন’-এর উপস্থিতি সম্পর্কে একটি তথ্য পেয়েছিলেন, যার ভিত্তিতে অভিযানটি শুরু হয়েছে। মাওবাদী আন্দোলনকে নির্মূল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ধরনের অভিযানে গত কয়েক বছর ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

এই অভিযানগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নকসালিজম’ সমাপ্ত করার লক্ষ্যের অংশ, যেটি ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ৬ ই জানুয়ারি, অমিত শাহ বার্তা দিয়েছিলেন যে বিজাপুর জেলার বিআরজি সদস্যদের নিয়ে যাওয়া এক যানবাহন মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisements

এই ঘটনাটি ছিল ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সর্বশেষ বড় সংঘর্ষ। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল, দান্তেওয়াদা জেলায় ১০ জন পুলিশ কর্মী এবং এক সিভিল ড্রাইভার মাওবাদীদের হাতে বিস্ফোরণে নিহত হন। ওই বিস্ফোরণটি ছিল একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
২ নিরাপত্তা কর্মী আহতও হয়েছেন এই সংঘর্ষে। নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য মাওবাদী গোষ্ঠীটির শক্তি এবং আধিপত্য কমানো, যাতে ছত্তিশগড়ের শান্তি ও উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলারে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই শহীদদের শোক প্রকাশ করার ভাষা নেই, তবে আমি আশ্বস্ত করছি যে আমাদের সৈন্যদের ত্যাগ বৃথা যাবে না।”

এটি পরিষ্কারভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর নীতির অংশ। যেখানে সরকার নকশাল আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশ থেকে নির্মূল করার লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News