হেরে গো হারা কংগ্রেস। কেন হার? প্রশ্নের বিশ্লেষণে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্যে মিসাইল উড়ে আসতে চলেছে। লক্ষ্যবস্তু অবধারিত গান্ধী পরিবার।
বিজেপির দাবি কংগ্রেস মুক্ত ভারত। কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী ২৩’ জনের দাবি গান্ধী পরিবার মুক্ত দল। দুই দাবির মাঝখানে শীতের মরা যমুনার মতো বইছে ভয়, রবিবারেই কি কামান দাগা হবে?
কোনও বিদ্রোহ নেই। সব বিজেপির কাল্পনিক তত্ত্ব।জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। পরিস্থিতি বলছে, তিনি অস্বস্তি এড়াতে চেয়েছেন। ১০ জনপথে বিদ্রোহ বাক্য হজমের যে আবহাওয়া তৈরি হয়েছে তা স্মরণাতীত কালে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিদ্রোহী ২৩ কংগ্রেস নেতার পোশাকি নাম জি-২৩ গোষ্ঠী। শনিবার রাতে তাঁরা গোলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠক করে নেন। সূত্রের খবর, আজাদ চেয়েছেন, অসুস্থ ম্যাডামকে যতটা সম্ভব কম আক্রমণাত্মক বাক্যে যেন আক্রমণ করা হোক। বাকি বাইশজন মেনে নিয়েছেন। তবে কোনওভাবেই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার ছাড় নেই।
৫ রাজ্যের ভোটের পর বেহালা কংগ্রেস। হাতের পাঁচ রাজস্থান ও ছত্তিসগড়। কর্নাটকের গ্রামীণ ও নগর ভোটে বড় আসনে জয়। এটুকুই সম্বল। তবে দেশজুড়ে প্রায় কুড়ি শতাংশ ভোট ধরে রেখে কংগ্রেস এখনও বিজেপি বিরোধী মূল শিবির। কংগ্রেসের এই দাবি যতই গরম হাওয়ায় জল ছিঠিয়ে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা হোক তাতে চিঁড়ে ভিজবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোনিয়া নীরব। প্রিয়াঙ্কা, রাহুল নীরব। আসলে গান্ধী পরিবার রাজনৈতিক সীমারেখায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রবল আনুগত্যের দিন কি রবিবারই শেষ। ১০ জনপথ থেকে দেশজুড়ে প্রশ্ন।