দক্ষিণ সুদানে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক ভারতীয় নাগরিকসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনা আফ্রিকার দক্ষিণ সুদানের একটি বিমানঘাঁটিতে ঘটেছে, যেখানে একটি যাত্রিবাহী বিমান কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণ পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এই বিমানটি একটি ছোট আঞ্চলিক যাত্রীবাহী বিমান ছিল, এবং এতে মোট ২১ জন যাত্রী ও দুইজন পাইলট ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় বিমানটি কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে উঠতে সক্ষম হলেও, তারপরই বিমানটি মাঝ আকাশে ভারসাম্য হারিয়ে দ্রুত মাটিতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হলেও, ২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত অবস্থায় একজন ভারতীয় নাগরিক সহ আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রথমে বিমানটি যখন আকাশে ওঠে, তখন সবারই ধারণা ছিল যে এটি নিরাপদে উড়ে যাবে। কিন্তু অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয় এবং সেটি মাটির দিকে নেমে আসে। দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় বিমান কর্তৃপক্ষ এবং উদ্ধারকারীরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। যদিও বিমানটি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
এই দুর্ঘটনার পেছনে মূলত প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা বিমানের যান্ত্রিক সমস্যার কারণে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে, তদন্তকারীরা এখনো বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেননি, এবং এ বিষয়ে সরকারী পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। বিমানটির মালিক পক্ষের তরফ থেকে যদিও এই দুর্ঘটনা নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং নিহতদের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন, এবং মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, অনেকেই এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিমান চলাচলে আরও সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন, বিশেষত এমন দেশগুলিতে যেখানে বিমান চলাচল কখনও কখনও অগ্রাধিকার পায় না।
ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই দুর্ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। নিহত ভারতীয় নাগরিকের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে ভারতীয় দূতাবাস দক্ষিণ সুদানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সেখানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
এই দুর্ঘটনার ফলে দক্ষিণ সুদানে বিমান পরিবহণের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও তীক্ষ্ণ নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।