কাকভোরে দেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৮ জনের, আহত বহু

এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল দেশে। ফের একবার মৃত্যু মিছিল হল সাধারণ মানুষের। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার এই…

এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল দেশে। ফের একবার মৃত্যু মিছিল হল সাধারণ মানুষের। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও বড় ঘটনা ঘটে গেল। আবারও ঘটনাস্থল সেই উত্তরপ্রদেশ। আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নাও (Unnao) জেলায় একটি বেসরকারি স্লিপার কোচের বাস পিছন থেকে একটি দুধের ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৯ জন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। ঘটনার খবর পেতে প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাসটি বিহারের সীতামারহি থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি নিহতদের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

   

পুলিশের পক্ষ থেকে আহতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে উন্নাওয়ের সাংসদ সাক্ষী মহারাজও এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে বেহতা মুজাওয়ার থানা এলাকার গড়া গ্রামের সামনে বিহার থেকে দিল্লিগামী একটি দোতলা বাসের সঙ্গে পিছন থেকে একটি দুধের কন্টেইনার সংঘর্ষ হয়। বাসের গতি ছিল অনেক বেশি। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ১৯ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনার পরপরই গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার বিষয়ে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছেন। নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করতে শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বুধবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আহতদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ, যাতে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়। বাঙ্গারমাউয়ের সিও অরবিন্দ চৌরাসিয়া সহ পুলিশ কর্মীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন উন্নাওয়ের ডিএম ও এসপি। উন্নাওয়ের ডিএম গৌরাঙ্গ রাঠি বলেন, “দিল্লিগামী একটি বেসরকারি বাসে প্রায় ৫৭ জন যাত্রী ছিলেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে বাসটি দুধের কন্টেইনারটির সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হন। প্রায় ২০ জন নিরাপদে রয়েছেন এবং তাঁদের দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে। আমরা ৬ জনকে ট্রমা সেন্টারে রেফার করেছি, বাকিদের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে। আমাদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেব।”