দীপাবলির ‘ট্রেন্ডিং’ বাজির জেরে দৃষ্টিশক্তি হারালো ১৪ শিশু, আহত শতাধিক!

নয়াদিল্লি: দীপাবলি (Diwali) উপলক্ষে প্রতিবছরই কিছু না কিছু ‘নতুন’ ট্রেন্ডিং বাজি বাজারে আসে। আর এই নতুন বাজি কেনার বায়না সবচেয়ে বেশি করে থাকে ছোটরা। সেরকমই এবছর ট্রেন্ডিং ‘কার্বাইড গান’ (Carbide Gun)। কিন্তু দীপাবলির এই “ট্রেন্ডিং” বাজির জেরেই দৃষ্টিশক্তি হারালো প্রায় ১৪ টি শিশু।

Advertisements

মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার ঘটনা। বাজারে দেদার বিক্রি হওয়া দেশীয় কার্বাইড বন্দুকের জেরে এই মর্মান্তিক ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিদিশার এক ১৭ বছরের কিশোর বলেন, “আমি বাজার থেকে ট্রেন্ডিং কার্বাইড বন্দুক কিনেছিলাম। কিন্তু ফাটানোর পর আমি একটা চোখে আর দেখতে পাচ্ছি না”।

রাজ বিশ্বশর্মা নামক আরও একজন বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার পর আমি একটি দেশীয় কার্বাইড বন্দুক তৈরি করেছিলাম। সেটির বিস্ফোরণে আমি দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছি।” বিদিশা জেলার টিআই আর কে মিশ্র বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ছয়জনকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে এবং আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনদিনে সামনে এসেছে ১০০-র বেশি ঘটনা

Advertisements

ভোপাল সহ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, গোয়ালিয়র, জব্বল্পুরে গত ৩ দিনে প্রায় ১২২ টি শিশু বাজির প্রভাবে আহত হয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভোপালেই ২৬ টি ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় কার্বাইড বন্দুকের বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি কোনও সাধারণ দীপাবলির বাজি নয়, বরং ভয়ংকর বোমা।

কীভাবে তৈরি হচ্ছে কার্বাইড গান?

জানা গিয়েছে, বাচ্চারা দেশলাইয়ের কাঠি এবং বারুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্লাস্টিক বা টিনের টিউবে ভরে বন্দুক তৈরি করছে। বিস্ফোরণের সময়, প্লাস্টিকের পাইপ ফেটে ধাতব কণা সরাসরি চোখে আঘাত করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে, এই অবস্থার ফলে চোখের পুতুল ফেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যার জন্য তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।