তীব্র আতঙ্ক, আচমকা হাওড়া-অমৃতসর মেল থেকে ঝাঁপ মেরে আহত ১২ যাত্রী

ফের প্রশ্নের মুখে রেল ব্যবস্থা। হাওড়া-অমৃতসর মেল (Howrah Amritsar Mail) থেকে লাফিয়ে গুরুতরভাবে আহত হলেন বহু রেল যাত্রী। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর-বরেলি সীমান্তে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া-অমৃতসর…

ফের প্রশ্নের মুখে রেল ব্যবস্থা। হাওড়া-অমৃতসর মেল (Howrah Amritsar Mail) থেকে লাফিয়ে গুরুতরভাবে আহত হলেন বহু রেল যাত্রী। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর-বরেলি সীমান্তে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেসের কামরায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এরপরেই একের পর এক কামরায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই প্রাণভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে শুরু করেন যাত্রীরা।

এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী। আহতদের শাহজাহানপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস বরেলি থেকে যাত্রা শুরু করে শাহজাহানপুর সীমান্তের কাছে পৌঁছলে ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই কামরার মধ্যে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করে দেয়।

   

জানা গেছে, কোচে একটি অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার রাখা ছিল, একজন যাত্রী হঠাৎ সেই সিলিন্ডার চালু করে দেন। সেখান থেকে তীব্র ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। এরপরই ট্রেনে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ গুজবের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রাণ বাঁচানোর হিড়িক পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে।  যাত্রীরা অ্যালার্ম চেন টেনে ট্রেনটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করান। ট্রেনের গতি কমে যাওয়ার পর চলতি ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারেন বহু যাত্রী। এরপর যাত্রীরা রেল লাইনে গিয়ে পড়েন। আর এতেই গুরুতর চোট পান ১২ জন মতো যাত্রী।

এরপরেই তড়িঘড়ি ট্রেন ম্যানেজার চালককে সতর্ক করেন। চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। যদিও ততক্ষণে বহু যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

এদিকে সোনভদ্রের শক্তি নগর থেকে আসা কয়লাবাহী একটি মালবাহী ট্রেন কৃষ্ণ শিলা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালবাহী ট্রেনটি শক্তি নগর থেকে আনপাড়া পর্যন্ত কয়লা নিয়ে যাচ্ছিল। রেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন আনপাড়া প্রকল্পের আধিকারিকরা। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।