বছরের পর বছর অতিক্রান্ত, ভারতের একটা আস্ত ট্রেন ফেরৎ দিচ্ছে না পাকিস্তান!

ভারতীয় রেলের ইঞ্জিন সহ একটা ট্রেন রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। তবু তা ফেরৎ দিচ্ছে না পড়শি দেশটি। দিল্লি চাইলেও ফেরতের নাম-গন্ধ…

11 Indian Railway coaches of the Samjhauta Express still remain in Pakistan

ভারতীয় রেলের ইঞ্জিন সহ একটা ট্রেন রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ পাঁচটি বছর। তবু তা ফেরৎ দিচ্ছে না পড়শি দেশটি। দিল্লি চাইলেও ফেরতের নাম-গন্ধ পর্যন্ত করেনি ইসলামাবাদ। কেন এই অবস্থা?

২০১৯ সালের ৫ অগস্ট। ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই ৮ অগস্ট ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলাচলকারী একমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রেন সমঝোতা এক্সপ্রেস চালানো বন্ধ করে দেয়। সেই থেকেই ভারতীয় রেলের সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে গিয়েছে সীমান্তের ওপারেই, লাহোরে।

   

চুক্তি অনুসারে সমঝোতা এক্সপ্রেস যখন চালু হয়েছিল, তখন স্থির হয় যে- এই দুই দেশের ট্রেনের বগিই চলাচল করবে। ভারতীয় রেলের কামরা সহ ট্রেনটি ছ’মাস চলাচল করবে। পাকিস্তানি রেলের কামরা সহ ট্রেনটি বাকি ছ’মাস চলাচল করবে। সাধারণ ভাবে পাকিস্তানি কামরাগুলি নিয়ে সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল করত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত। জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল করত ভারতীয় কামরাগুলি নিয়ে। ভারত-পাক সংযোগকারী এই ট্রেনে ছ’টি স্লিপার ক্লাস কামরা ও একটি বাতানুকূল কামরা রয়েছে।

২০১৯ সালের অগস্টে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা করলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ৮ই অগস্ট পাকিস্তান থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ১২টায় আটারি পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের নিয়ে সেটি পৌঁছায় বিকেল প্রায় ৫টায়। ততক্ষণে ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। তখন প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান থেকে জানানো হয়েছিল, এক দিনের জন্যই সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল করা হচ্ছে। তাই আটারিতে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর ভারতীয় কামরা সহ ফাঁকা ট্রেনটিকে আবার লাহোরেই ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ভারতীয় রেলের ওই ১১টি বগি রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ওয়াঘা স্টেশনেই।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭৬ সালের জুলাই মাস থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু যখনই পড়শি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, তখনই সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ হয়েছে। ২০১৯ সালের অগস্ট থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চাকা গড়াচ্ছে না সমঝোতা এক্সপ্রেসের।