News Desk: যেভাবে ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তাতে আসন্ন বড়দিনের আগেই না গোটা মহাদেশটাই লকডাউনে চলে যায় এমনই আশঙ্কা প্রবল। বিশেষত শিল্পন্নোত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির টিকা দানের হার সর্বনিম্ন হওয়া চরম অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার কড়া বাস্তবে অট্টহাসি হাসছে কোভিড ঘাতক।
ইউরোপ জুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন শুরু করছে বেশকিছু দেশ। এর ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগকারীরা চাইছেন অপরিশোধিত তেলের বড় মজুদকারী দেশগুলো যেন নিজেদের কাছে থাকা তেল ছেড়ে দেয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের মজুত তেল ছাড়ার সংবাদে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় তিন শতাংশ কমে শুক্রবার ব্যারেল প্রতি ৮০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। টানা চার সপ্তাহ পরিশোধিত এবং কিছুটা পরিশোধিত তে দুই ধরনের তেলেরই দর পতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের মার্চের পর এমন ঘটনা এই প্রথম বলে জানাচ্ছে বিবিসি।
ভয়াবহ সংক্রমণ অবস্থা জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায়। এদের লাগোয়া দেশগুলিতে সংক্রমণের গতি হাওয়ার বেগে ফের ছড়াতে পারে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউনের পথে অস্ট্রিয়া। জার্মানিতেও জনজীবন বিপর্যস্ত হতে চলেছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, শিল্পোন্নত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া এই প্রথম পূর্ণ লকডাউন লকডাউন জারি করতে যাচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯১ লাখ মানুষের দেশ অস্ট্রিয়ায় টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই অংশ। পশ্চিম ইউরোপে যে কয়েকটি দেশ বর্তমানে টিকাদান কর্মসূচিতে পিছিয়ে আছে, সেসবের মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম।
প্রতিবেশি দেশ জার্মানিতে করোনাভাইরাস শনাক্তের রেকর্ড সৃষ্টি হলো। একদিনে ৬৫ হাজার ৩৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আরও অবনতি হলো।