ভিটিলিগো রোগ কী রোগ? যার সঙ্গে লড়ছেন তামান্নার বয়ফ্রেন্ড বিজয়

বলিউড অভিনেতা বিজয় ভার্মা (Vijay Varma), ‘মির্জাপুর’, ‘গালি বয়’ এবং ‘ডার্লিং’ এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন…

Vijay-Varma

short-samachar

বলিউড অভিনেতা বিজয় ভার্মা (Vijay Varma), ‘মির্জাপুর’, ‘গালি বয়’ এবং ‘ডার্লিং’ এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন যে তিনি একটি গুরুতর ত্বকের রোগে ভুগছেন। বিজয় ভার্মা তার প্রেমিকা তামান্না ভাটিয়ার (Tamannaah Bhatia) কারণে শিরোনামে থাকলেও এবার ভক্তদের মধ্যে দুশ্চিন্তার কারণ তার অসুস্থতা। বলিউডের এই প্রতিভাবান অভিনেতা ভিটিলিগো (Vitiligo) নামক ত্বকের সমস্যায় আক্রান্ত। 

   
 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Vijay Varma (@itsvijayvarma)

ভিটিলিগো কী?
ভিটিলিগো (Vitiligo) একটি বিরল ধরনের ত্বকের সমস্যা। যখন ত্বকে মেলানিন উৎপাদনকারী কোষ ধীরে ধীরে মারা যায় তখন এই রোগ হয়। মেলানিন হল একটি প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ, যেটি ত্বকের স্বাভাবিক রঙ নির্ধারণ করে। মেলানিনের অভাবে ত্বকে সাদা দাগ তৈরি হয়। এই দাগগুলো সাধারণত মুখ, হাত, পা এবং ঠোঁটের মতো অংশে বেশি দেখা যায়। তবে শরীরের যেকোনো অংশে এটি হতে পারে।

ভিটিলিগোর লক্ষণ
ভিটিলিগোর (Vitiligo) সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ত্বকে সাদা দাগের উপস্থিতি। এই দাগগুলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণত সূর্যের আলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এছাড়া শরীরের একাংশে ছোট ছোট সাদা দাগ, চোখের রেটিনার রঙের পরিবর্তন, দাগের প্রান্তে হালকা লালচেভাব এবং ত্বকে চুলকানি অনুভূত হতে পারে।

ভিটিলিগোর কারণ
এই রোগ (Vitiligo) সাধারণত শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (ইমিউন সিস্টেম) সমস্যার কারণে হয়। তবে অনেক সময় এটি জিনগত কারণেও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নির্ধারণ করা কঠিন। মানসিক চাপ, চর্মরোগ বা সূর্যালোকের অতিরিক্ত সংস্পর্শ ভিটিলিগোর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ভিটিলিগোর চিকিৎসা
ভিটিলিগোর (Vitiligo) স্থায়ী নিরাময় নেই, তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো যায়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে ওষুধ ও ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের রঙ পুনরুদ্ধারের জন্য লেজার থেরাপি এবং এক্সাইমার লেজারের সাহায্যে UVB আলো ব্যবহার করা হয়। এটি মেলানিনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকের রঙকে স্বাভাবিক করে তোলে এবং রোগের বিস্তার রোধ করে।