ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পচাগলা দেহ

পাকিস্তানের বিনোদন জগতে নেমে এসেছে গভীর শোক। করাচির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আয়েশা খানের (Ayesha Khan) পচাগলা দেহ।…

TMC leader found dead in Mandarmani Police investigation going on.

পাকিস্তানের বিনোদন জগতে নেমে এসেছে গভীর শোক। করাচির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আয়েশা খানের (Ayesha Khan) পচাগলা দেহ। বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। একাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয় করে দীর্ঘ কর্মজীবনে অগণিত দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পাকিস্তানের অভিনয় ও বিনোদন মহল।

জানা গিয়েছে, করাচির গুলশান-ই-ইকবাল এলাকার একটি আবাসনে একা থাকতেন আয়েশা খান। সম্প্রতি প্রতিবেশীরা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন। প্রথমে বিষয়টি তারা এড়িয়ে গেলেও, কয়েকদিন পরেও একই পরিস্থিতি চলতে থাকায়, সন্দেহ হয় তাঁদের। এরপরই স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।

   

পুলিস এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পায়, ফ্ল্যাটের ভেতরে বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে আয়েশা খানের দেহ। শরীরটি ছিল পচাগলা অবস্থায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মৃত্যু ঘটেছে কয়েকদিন আগেই। এখন দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।

ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পচাগলা দেহ

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আয়েশা খান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং সামাজিকভাবে একেবারেই বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতেন। তাঁর কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরাই ছিলেন তাঁর একমাত্র ভরসা।

Advertisements

আয়েশা খান পাকিস্তানের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচিত নাম। বিশেষ করে নব্বই দশকে তিনি একের পর এক জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয়ের গভীরতা ও সাবলীলতা তাঁকে বিশিষ্ট শিল্পীর মর্যাদা দেয়। “Mehndi,” “Khuda Zameen Se Gaya Nahin,” “Maseeha” সহ একাধিক টিভি সিরিয়ালে তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার সহ-অভিনেতারা জানিয়েছেন, আয়েশা ছিলেন অত্যন্ত পেশাদার, পরিশ্রমী ও নম্র স্বভাবের।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বহু সহ-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী মাহিরা খান থেকে শুরু করে বহু নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও জানিয়েছেন, আয়েশা খানের অবদানকে তাঁরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি মৃত্যুর খবর নয়, বরং এটি আধুনিক সমাজের এক বাস্তব চিত্রও তুলে ধরে। একক জীবনের পরিণতি, বার্ধক্যে নিঃসঙ্গতা ও চিকিৎসা এবং সামাজিক সহযোগিতার অভাব এই মৃত্যুকে আরও মর্মান্তিক করে তুলেছে।

আয়েশা খানের মৃত্যুতে শুধু একটি প্রতিভাবান শিল্পীকে হারানো নয়, বরং একটি যুগের অবসান। তাঁর স্মৃতি, কাজ এবং শিল্পে অবদান পাকাপাকি ভাবে থেকে যাবে পাকিস্তানি বিনোদন জগতে।