Suicide: প্রযোজক কেপি চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনায় শোকস্তব্ধ টলিউড!

টলিউড প্রযোজক সুনকারা কৃষ্ণ প্রসাদ চৌধুরী, যিনি সিনেমা জগতে কেপি চৌধারি নামে পরিচিত। সোমবার গোয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের…

tollywood producer

টলিউড প্রযোজক সুনকারা কৃষ্ণ প্রসাদ চৌধুরী, যিনি সিনেমা জগতে কেপি চৌধারি নামে পরিচিত। সোমবার গোয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের তরফ থেকে।

উত্তর গোয়ার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অক্ষত কৌশল বলেছেন, সিওলিম পুলিশ আউটপোস্টে ৪৪ বছর বয়সী এক তেলঙ্গানার বাসিন্দা প্রথম তাঁর আত্মহত্যার খবরটি জানায়।

   

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং ময়নাতদন্তের কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে ওই প্রযোজক ফ্ল্যাটে একা থাকছিলেন। প্রাথমিক বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ব্যক্তির বন্ধুরা জানান, আজ সকালে ফোন কল এবং মেসেজে করলেও সাড়া দেননি তিনি, ফলে তাঁদের মনে সন্দেহের বাসা বাঁধে। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টলিউড প্রযোজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে তৎক্ষণাৎ খবর দেন।”

কৃষ্ণ প্রসাদ চৌধুরী খাম্মাম জেলার বোনাকালের বাসিন্দা,যিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক. ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পুনেতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-তে অপারেশনস ডিরেক্টর হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘কাবালি’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। এরই পাশাপাশি তিনি দুটি তেলুগু চলচ্চিত্র, ‘সরদার গব্বর সিং’ এবং ‘সীতাম্মা বিকীতলো সিরিমালে ছেততু’, এবং তামিল চলচ্চিত্র ‘কানিতান’-এর বিতরণ অধিকারও অর্জন করেছিলেন।

পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় উঠে এসেছে, চলচ্চিত্র প্রযোজনার সময় তিনি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে গোয়ায় গিয়ে একটি ক্লাব শুরু করেছিলেন।

এরপর সাইবারাবাদ পুলিশ তাকে ২০২৩ সালে জুন মাসে মাদক ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় সাইবারাবাদ পুলিশ দাবি ছিল, ওই টালিউড প্রযোজক তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। পরে নিজের ব্যবসাকে ক্ষতির মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে সেই বছরের এপ্রিল মাসে গোয়া থেকে ফেরার সময় একজন নাইজেরিয়ান মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ প্যাকেট কোকেন কেনেন। তারপরই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। যদিও পরে তিনি ছাড়া পান।

তবে পুলিশের এক আধিকারিকের মতে ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারণ জড়িয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।