মুম্বই: অবশেষে মুম্বই পুলিশের জালে ছোটে নবাব সইফ আলি খানের উপর হামলাকারী৷ বান্দ্রা স্টেশন থেকে ভোরের ফার্স্ট লোকাল ধরে পালানোর চেষ্টা করেছিল ওই আততায়ী৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে হাতেনাতে ধরে বান্দ্রা থানায় নিয়ে আসে৷ সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে এই সন্দেহভাজনের মিল রয়েছে বলেই সূত্রের খবর৷ (Suspect detained by police in Saif Ali Khan attack case)
বান্দ্রা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ Suspect detained by police in Saif Ali Khan attack case
সইফের উপর হামলার ৩৩ ঘণ্টা পরে এই সন্দেহভাজনকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রা থানায় এনে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ৷ এই ব্যক্তিই মূল অভিযুক্ত কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷
বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই এক আততায়ীর হাতে ছুরিকাহত হন বলিউড তারকা সইফ আলি খান। ছয়বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে৷ গুরুতর জখম হন অভিনেতা৷ তাঁকে তড়িঘড়ি লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাতে, ঘাড়ে, গলায়, পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে সইফের। তবে সবচেয়ে গভীর মেরুদণ্ডের পাশের ক্ষত৷ অস্ত্রোপচারের পর অভিনেতার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর৷
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে পুলিশ Suspect detained by police in Saif Ali Khan attack case
এদিকে, সইফের উপরে হামলা চালানোর পরই পিছনের সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় ওই আততায়ী। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে৷ একবার সিসিটিভি ক্যামেরার দিকেও তাকায় সে৷ সেই ছবি দেখেই হামলাকারীকে চিহ্নিত করে মুম্বই পুলিশ৷ অভিযুক্তকে ধরতে তন্নতন্ন করে খোঁজ চালানো হয়৷ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছবি৷ অবশেষে শুক্রবার ধরা পড়ে এক সন্দেহভাজন৷ বান্দ্রা রেল স্টেশনের কাছেই ঘোরাঘুরি করছিল সে৷ সম্ভবত প্রথম লোকাল ধরে পালানোর মতলব এঁটেছিল ওই আততায়ী। কিন্তু তার আগেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, সইফের ছোট ছেলে জেহকে পণবন্দি করার মতলবেই অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিল সে৷ জেহ-র ঘরে ঘাপটি মেরে লুকিয়েছিল। জেহর পরিচারিকা তাকে সইফ-পুত্রের বিছানার দিকে এগোতে দেখে৷ তিনি চিৎকার করতেই তাঁকে ইশারা চুপ করতে বলে ওই আততায়ী। জেহকে বন্দি বানিয়ে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণও দাবি করে৷ তিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন সইফ৷ দুঃসাহসিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অভিনেতা৷ হামলাকারীকে বাধা দিতেই সে ছুরি হাতে সইফের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ এলোপাথাড়ি কোপ মারকে শুরু করে৷ আহত হন ওই পরিচারিকাও৷ এর পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে৷